Logo
Logo
×

সারাদেশ

কমলার লোভ দেখিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণ, অপরজনকে ধর্ষণচেষ্টা!

Icon

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ১২:১৭ এএম

কমলার লোভ দেখিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণ, অপরজনকে ধর্ষণচেষ্টা!

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় কমলার লোভ দেখিয়ে এ শিশুকে ধর্ষণ অপরজনকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় জাহিদ শেখ (৫১) নামে একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এদিকে শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ইতনা গ্রামের সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী ওই শিশুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরা,শিক্ষকরা ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।

বুধবার (১৮মে) দুপুর একটার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক নায়ার সুলতানা, সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ, সেলিনা পারভীন, মো. সোহেল রানা প্রমুখ।

মানববন্ধনে ধর্ষক জাহিদ শেখকে দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

গত সোমবার (১৬ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লোহাগড়া উপজেলায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি জাহিদ শেখ (৫১) ইতনা দক্ষিণপাড়ার আবুল শেখের ছেলে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির দুই ছাত্রী সোমবার স্কুলের পাঠ শেষে নিজ নিজ বাড়িতে যান। এরপর প্রতিবেশী দুই বান্ধবী উভয়েই ধর্ষকের বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় জাহিদ শেখ ওই দুই ছাত্রীদের কমলা লেবু খেতে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান।

ফাঁকা বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এসময় ওই শিশুদের ভয় দেখিয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
 
পরে ভুক্তভোগীরা এ ঘটনা পরিবারকে জানালে মঙ্গলবার রাতে ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষক জাহিদ শেখকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। বুধবার (১৮ মে) সকালে ওই দুই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

গ্রামবাসী জানায়, ধর্ষক জাহিদের এ পর্যন্ত মোট ৭-৮টি বিয়ে হয়েছে। এখন তার ঘরে চারটি বউ বিদ্যমান রয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. নায়ার সুলতানা বলেন, ধর্ষকের ফাঁসি হওয়া উচিত।

লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, এ ঘটনায় ৫ম শ্রেণির ভুক্তভোগী শিশুটির মাতা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম