নববধূর বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যাচেষ্টার মামলা
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১২:২৩ পিএম
লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুরের সীমান্তবর্তী মহাদেবপুর গ্রামে মো. হেলাল নামে এক যুবককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নববধূসহ অজ্ঞাতদের নামে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নববিবাহিত হেলালের বাবা মিজান।
মো. হেলাল একজন নির্মাণশ্রমিক। তিনি সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে এবং অভিযুক্ত নববধূ সেলিনা আক্তার পাখি (১৮) রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউপির চরবংশী গ্রামের খালাসি বাড়ির করাতকল শ্রমিক সেলিমের মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ মার্চ হেলাল বিয়ে করেন পাখিকে। বিয়ের দুদিন পর মনোমালিন্য করে বাবার বাড়ি চলে যায় পাখি। এ ঘটনার পর ৪-৫ দিন ধরেই অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন আসে হেলালের কাছে 'পাখিকে কেন বিয়ে করলি-তোর মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নে, তোকে প্রাণে মেরে ফেলব'।
এ কথা বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে ফোন কেটে দেয়। এর পর ২৯ মার্চ রাত ৩টার সময় মুখোশ পরা দুই দুর্বৃত্ত বসতঘরের সিঁধেল কেটে ঘরে ঢুকে হেলালের কক্ষে গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় হেলালের বুকের ওপর বসে গলায় বঁটি ধরে হত্যাচেষ্টা চালায়।
এ সময় হেলাল চিৎকার দিলে দুর্বৃত্ত লাফ দিয়ে ঘর থেকে দৌড়ে চলে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি কেউ। পর দিন এ ঘটনায় দুপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মোবাইল থেকে হেলালের বাবার মোবাইলে ফোন আসে ঘটনা বেশি বাড়াবাড়ি করলে সবার ক্ষতি করা হবে। ঘটনার পর দিন নববধূ পাখিকে বাড়িতে রেখে তার মা-বাবা হেলালের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে সদরের দালালবাজার ফাঁড়িতে হেলালকে হত্যাচেষ্টাকারীকে আটকের দাবিতে তার নববধূসহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দেন আহত হেলালের বাবা মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল তদন্ত করে গেছেন।
এ ঘটনায় নববধূ পাখির বাবা সেলিম জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। গত ১০ দিন আগে হেলাল পাখিকে তাদের বাড়িতে রেখে চলে যায়। কয়েক দিন আগে খোঁজখবর না নিয়ে উল্টো গালমন্দ করে ফোন রেখে দেয় হেলাল। পরে বাড়ির এক কিশোর হেলালকে ফোনে দুষ্টামি করে ওসি পরিচয়ে মশকরা করেছে। সে বুঝতে পারেনি।
সদরের দালালবাজার ফাঁড়ির এসআই শাহজাহান বলেন, এ ঘটনায় নববিবাহিত হেলালের বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে নববধূ পাখিকে অভিযুক্তসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।