
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
টঙ্গীতে দুই নারীকে ধর্ষণ

টঙ্গী পূর্ব (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২২, ১২:৩৩ এএম

গাজীপুরের টঙ্গীতে পৃথক স্থানে চাকরির আশ্বাসে এক গৃহবধূকে (১৯) সংঘবদ্ধ ও এক গামেন্ট কর্মীকে (২৬) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী দুই নারী।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলেন- রাজশাহী বাঘা থানার কিশোরপুর গ্রামের খোকনের ছেলে মামুন (২৩), একই এলাকার বানিছের ছেলে হাসান (২৩), রাজশাহী মহনপুর থানার মালিন্দী গ্রামের মৃত হুদারিশ মৃধার ছেলে হক মৃধা (৩০) ও একই এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে কবির (৩১)। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গেছে।
গার্মেন্টকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতাকৃত হলেন- পঞ্চগড় সদরের ঠাটপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের রাহাত আলী (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারী পেশায় একজন গৃহবধূ। তার চাচাতো দেবর মামুন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বললে তিনি গত ৩০ জানুয়ারি রাতে স্বামীর বাড়ি রাজশাহী হতে রওনা দেন। পরদিন সকাল ৯টায় টঙ্গীতে পৌঁছে যোগাযোগ করলে ওই নারীকে স্থানীয় পাগাড় বিসিক এলাকায় মামুনের বাসায় নিয়ে যায়।
এ সময় ভুক্তভোগীকে গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চলে যায় মামুন। পরে তার সহযোগী হাসান, হক মৃধা ও কবির একই কায়দায় সংঘবদ্ধ হয়ে একের পর একজন তাকে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে রাজশাহী চলে যায় ওই নারী। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার টঙ্গী পূর্ব থানায় এসে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
এদিকে টঙ্গী এরশাদনগর এলাকায় গার্মেন্টের এক শ্রমিককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ মার্চ রাত ৯টার দিকে গার্মেন্ট ছুটির পর বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। এ সময় এরশাদনগর বড়বাজার পৌঁছলে রাহাত আলী তাকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেটকারে তুলে বনমালা রেলগেট এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাইভেটকারের ভিতরে দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বুধবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ জোন) হাসিবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গামেন্টকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।