দুবাইয়ের গ্রিন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি তামান্না
যুগান্তর প্রতিবেদন, গাজীপুর
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৫ এএম
দুবাইয়ের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে গ্রিন বিজনেস সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সফল নারী উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠক, মানবতার ফেরিওয়ালা তামান্না আক্তার ইয়াসমিন।
দুবাইয়ে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি দায়িত্বশীলতার জন্য অসামান্য কৃতিত্ব রাখায় এবার গ্রিন বিজনেস সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তামান্না হাসান ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তামান্না আক্তার ইয়াসমিন।
রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় দুবাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গ্রিন বিজনেস সন্মাননা অ্যাওয়ার্ডটি তামান্না আক্তার ইয়াসমিনের হাতে তুলে দেন দুবাইয়ের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী প্রিন্স শেখ।
এ সময় তামান্না আকতার ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
ওই অনুষ্ঠান শেষে তিনি দুবাইয়ের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব তানিয়া আহসান সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুবাইয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আল হাক্ক প্রজেক্টের সঙ্গে তামান্না আক্তার ইয়াসমিন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ বছর মেয়াদি চুক্তি স্মারক সম্পন্ন করেন। চুক্তি শেষে দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী সুলতান শেখ জায়েদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঠিক রেখে অদম্য ইচ্ছা, মনোবল, সততা আর কঠোর পরিশ্রমে অল্প সময়ে একজন নারীও কতখানি সফলতা অর্জন করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তা তামান্না আকতার ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, ছোটকাল থেকেই নিজেকে একজন নারী হিসেবে নয় বরং একজন মানুষ হিসেবে ভাবতাম। সাধ্য না থাকলেও স্বপ্ন ছিল প্রচুর। তবে ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতি প্রচুর আগ্রহ থাকায় এবং আমিরাতে এর বেশ চাহিদার বিবেচনায় নিপুণ কর্মশৈলী নামি-দামি তৈরি পোশাক, ব্যাগ ও জুতাসহ ফ্যাশন সংশ্লিষ্ট নানারকম পণ্যের ব্যবসায় এগিয়ে আসেন তিনি। পাশাপাশি পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজ প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ী চ্যালেঞ্জকে সফল করতে চেষ্টা করতেন। এ ব্যবসাকে কীভাবে আরও ব্যাপকভাবে প্রসার করা যায়— তিনি এ চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায় নিজেকে পুরোপুরিভাবে নিয়োজিত করেন।
বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠান ইয়াসমিন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠানের আধুনিক ডিজাইনের রুচিশীল হরেকরকম পণ্য আমিরাতে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে আমিরাতের নামকরা প্রতিষ্ঠানে নামি-দামি বিভিন্ন মার্কেটে তার প্রতিষ্ঠানের পণ্য ব্যাপকভাবে সরবরাহ করা হয় বলেও জানান সফল এই বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তা।