Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্কুলছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে নিজ বাড়িতে রেখে ধর্ষণ

Icon

নেত্রকোনা ও মদন প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১৭ পিএম

স্কুলছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে নিজ বাড়িতে রেখে ধর্ষণ

নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাসুম মিয়া (২২) নামে এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় সালিশ বৈঠক হলেও তিন দিন পরও কোনো সুরাহা হয়নি। 

ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য তার বাবা রোববার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাসুম মিয়া নয়াপাড়া গ্রামের ইকবাল মিয়ার ছেলে ও ময়মনসিংহ রয়েল মিডিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাঘান নয়াপাড়া গ্রামের অভিযুক্ত মাসুম মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে মাসুম। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় মাসুম। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে এলাকায় সালিশ বৈঠক হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। ঘটনার পর থেকে মাসুম তার নিজ বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখেছে। 

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েটিকে প্রায়ই বিরক্ত করত মাসুম। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। এলাকায় দেন-দরবার হলে মাতবরদের কাছে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে আমার মেয়ে। কিন্তু মাসুম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় আমার মেয়েকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযুক্ত মাসুম মিয়ার মা শেফালী আক্তার বলেন, মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি আমার বাড়িতেই আছে। মাসুম শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ কলেজে চলে গেছে। প্রাপ্ত বয়স হলে দুজনকে বিয়ে দেব। 

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার দেন-দরবার হয়েছে। দরবারে উপস্থিত সবার সামনে মেয়েটি বলেছে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে মাসুম মিয়া। মেয়েটি বর্তমানে মাসুম মিয়ার বাড়িতে আছে। 

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ প্রেরণ করে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম