সিলেটে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ৪ তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২১, ০৪:৫১ এএম
সিলেটে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ৪ তরুণী আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রে দুই মাসের শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটনের এক সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুনর্বাসন কেন্দ্রের স্টোরের দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও অফিস সহকারী আনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর নির্যাতন করছেন। এতে অতিষ্ট হয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই চার তরুণী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জনের অভিযোগ, প্রশিক্ষক দেলোয়ার ও অফিস সহকারী আনোয়ারা তাদের নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। আনোয়ারা বিভিন্ন সময় তাদের জুতা পেটাও করেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দেলোয়ার তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন; অশ্লীল কথাবার্তা বলেছে। দীর্ঘদিন ধরে দুইজনের নির্যাতন ও অপমান সহ্য করতে না পেরে তারা আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।
আত্মহত্যা চেষ্টাকারী চার তরুণী জানান, বর্তমানে কেন্দ্রে ৪০ জন বাসিন্দার মধ্যে দুইজন শিশু ছাড়া বাকি সকলে কিশোরী-তরুণী। সম্প্রতি কেন্দ্রের বাসিন্দা এক তরুণী বিষপানে আত্মহত্যা করেন; যার জন্য শুক্রবার শিরণী অনুষ্ঠান হবে। বৃহস্পতিবার এই শিরনী নিয়ে দেলোয়ারের খারাপ ব্যবহারের পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন চারজন।
তবে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের দাবি, ওই প্রশিক্ষণার্থীরা সামান্য কিছু হলেই হাত কেটে ফেলে। একাধিকবার তারা এমন করেছে। তিনি বলেন, ‘শিরণীর অনুষ্ঠানের জন্য তারা বাড়তি বরাদ্দ চেয়েছিল। স্টোরে অতিরিক্ত বরাদ্দ না থাকার কথা বললে তারা শুনতে চায়নি।’
ওপর অভিযুক্ত আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। একইভাবে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী ব্যবস্থাপক লুৎফুর রহমানও ফোন ধরেননি। ফোন না ধরায় এ সংক্রান্তে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই নগরীর বাগবাড়িতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ছোটমণি নিবাসে দুই মাস ১১ দিন বয়সী এক শিশুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে ১২ আগষ্ট নিবাসের আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবুঝ শিশুর কান্নায় অতিষ্ট হয়ে আয়া সুলতানা প্রথমে বিছানায় আছাড় মেরে ও বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেন অভিযুক্ত আয়া।