নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ের দাবিতে ব্যাংক কর্মকর্তা সুমনের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। ছবি: যুগান্তর
ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের প্রলোভনে রাতভর ব্যাংকের ভেতর আটকে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম মো. সুমন আহাম্মেদ। তিনি কাওয়ালীপাড়া পুরাতন বাজার এলাকার মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার কাওয়ালীপাড়া বাজারের মনসুর প্লাজায় অবস্থিত একটি ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় এই ঘটনা ঘটে। সুমন আহাম্মেদ এই শাখার ব্যবস্থাপক।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তা সুমন আহাম্মেদ একই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর জেরে ওই তরুণীর তিনটি বিয়েও ভেঙেছেন তিনি।
সুমন ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের আশ্বাসে ব্যাংকের ভেতর নিয়ে আসেন। এরপর রাতভর তাকে ধর্ষণ করেন। পরে সকাল বেলা ওই তরুণীকে ব্যাংকের ভেতর থেকে চলে যেতে বলেন।
কিন্তু তরুণী যেতে রাজি না হলে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে জোর করে ব্যাংকের ভেতর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তরুণীর চিৎকারে বাজারের লোকজন দৌঁড়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা জেনে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বড়ভাই মো. আমজাদ হোসেন পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পরে মোটরসাইকেলযোগে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যান।
নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ের দাবিতে ব্যাংক কর্মকর্তা সুমনের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ব্যাংক কর্মকতা সুমনের বড়ভাই ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, সুমন বাড়িতে নেই। সে বাড়ি ফিরলে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন ওই মেয়ে আমাদের বাড়িতে থাকতে পারবে না।
অনশনরত তরুণী বলেন, সুমনের সঙ্গে শিরি ফরহাদের মত আমার যুগ-যুগান্তরের প্রেম। সে আমার তিনটি বিয়ে ভেঙেছে। সর্বশেষ আমাকে বিয়ে করবে বলে ব্যাংকের ভেতর নিয়ে আমর জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদটুকুও লুটে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন বিয়ে করবে না বললে তো চলবে না। বিয়ে তাকে করতেই হবে। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এ বাড়ি থেকে এক পাও নড়ব না। প্রয়োজনে আমার লাশ যাবে, এ আমার শেষ কথা।
এ ব্যাপারে কাওয়ারীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।