
চাঁদপুরের কচুয়ার বাঁচাইয়া ব্রিকফিল্ড এলাকার দক্ষিণ বিলের ফসলি জমিতে উদ্ধার হওয়ায় গৃহবধূ লাভলী আক্তারের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। লাভলী আক্তারের স্বামী শাহাদাত হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তারকে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় লাভলী আক্তারের মা খোরশেদা বেগম বাদী হয়ে মেয়ে হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে সোমবার রাতে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শাহাদাত হোসেনকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। আদালতে শাহাদাত তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই হাতে গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে জবানবন্দি দেন।
সহদেবপুর গ্রামের এলাকাবাসী জানান, লাভলী আক্তার খুবই শান্ত প্রকৃতির মেয়ে ছিল। তিন বছর পূর্বে শাহাদাতের সঙ্গে তার পছন্দ করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা উভয়ে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। কিন্তু লাভলী আক্তারকে বিয়ের আগে শাহাদাত হোসেন মাকসুদা আক্তার নামের একজনকে বিয়ে করেন এবং ওই গৃহে তার মিনহাজ (৮) ও মরিয়ম (৭ মাস) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। শাহাদাত হোসেনের আগের বিয়ের বিষয়টি লাভলী ও তার পরিবারের জানা ছিল না বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান, লাভলীর চাচা বোরহান উদ্দিন মিয়াজী, ইসমাইল মিয়াজী, ভাই সাইফুল ইসলামসহ এলাকাবাসী লাভলী হত্যাকারী ঘাতক শাহাদাত হোসেনের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করি এবং সন্দেহভাজন তার স্বামী শাহাদাত হোসেনকে আটক করলে প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে আদালতে প্রেরণ করলে সেখানেও শাহাদাত হোসেন তার স্ত্রী লাভলী আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে শাহাদাত হোসেন চাঁদপুর কারাগারে রয়েছেন।