Logo
Logo
×

সারাদেশ

কে এই রনি?

Icon

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০১৮, ১০:৪৯ পিএম

কে এই রনি?

২০১৩ সালের অক্টোবরে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন নুরুল আজিম রনি। আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবেই তিনি এ পদ পান। যদিও এর আগে ছাত্রলীগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিতে রনি ছিলেন না। সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার পর থেকেই তিনি একের পর এক অঘটন ঘটাচ্ছেন। তার অপকর্ম পুরো সংগঠনের কার্যক্রমকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

হাটহাজারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কেন্দ্র দখল ও প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে অস্ত্রসহ ধরা পড়েন রনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে সাজা দেন।

অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের নেয়া সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থানসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে রনি অংশ নেয়। এতে নগর ছাত্রলীগের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। যদিও ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না।

যত অপকর্ম : রনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে পেশিশক্তি প্রয়োগের অভিযোগ আছে। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে তিনি নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন কলেজের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজ সংগঠনের ছাত্রদের ওপর হামলা ও সংঘাত-সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ছেন তিনি। এসব কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংগঠনের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড তার একার ভূমিকায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। সর্বশেষ রোববার চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে তার কক্ষে মারধরের ঘটনা ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৭ মে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রের বাইরে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে অস্ত্রের মহড়া দেন রনি। এ সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন-উর রশীদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। তার কাছ থেকে এ সময় ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। আদালত তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

২০১৫ সালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত আজমীর অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি দখলেও নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ আছে। ওই কারখানার মালিকপক্ষ রনির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম