হাটহাজারীর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৫৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
হেফাজত আমীর ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীকে অক্ষম উল্লেখ করে কর্মক্ষম নতুন মুহতামিম নিয়োগসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর থেকে মাদ্রাসার মাঠে ছাত্ররা এ বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ অন্য শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর মাদ্রাসায় একটি লিফলেট আকারে এসব দাবি পেশ করা হয়।
দাবিগুলো হলো, মাওলানা আনাস মাদানীকে অনতিবিলম্বে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ছাত্রদের প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ সুবিধা প্রদান ও সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
আল্লামা আহমদ শফী অক্ষম হওয়ায় মহাপরিচালকের পদ থেকে সম্মানজনকভাবে অব্যাহতি দিয়ে উপদেষ্টা বানাতে হবে।
শিক্ষকদের পূর্ণ অধিকার ও নিয়োগ-বিয়োগকে শুরার কাছে পূর্ণ ন্যস্ত করতে হবে। বিগত শুরার হক্কানী আলেমদেরকে পুনর্বহাল ও বিতর্কিত সদস্যদের পদচ্যুত করতে হবে।
হাটহাজারী মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও কওমি মাদরাসা বোর্ড নিয়ে (বেফাক) দীর্ঘদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছিল। এ নিয়ে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম সফর করে। সেদিন ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসায় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর উপস্থিতিতে আহমদ শফীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মামুনুল হক। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, গত শুক্রবার হাটহাজারী থেকে যেসব ছাত্র বাবুনগর গিয়েছিল, তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছিল।
পরদিন শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের নূরিয়া মাদ্রাসায় একই বিষয়ে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
এতে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাফেজ আতাউল্লাহ, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন।