কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া জিনের বাদশা কারাগারে
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:১৮ পিএম
![কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া জিনের বাদশা কারাগারে](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2020/09/15/image-345128-1600186681.jpg)
মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মূলহোতা জিনের বাদশা হাকিম চৌধুরীকে (৪৫) জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদের কাছে হাজির করা হলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন। পরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রোববার ভোরে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা থেকে কথিত জিনের বাদশাকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ভারতীয় জি-বাংলা ও দেশের বেশ কয়েকটি টিভিতে জিনের বাদশা সব রোগ সারাতে পারে- এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে একটি প্রতারক চক্র। নানা ধরনের রোগের মুক্তির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া সব মিলে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা ও এফডিআরসহ ৬৮ লাখ টাকা ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। প্রতারক চক্র সারা দেশ থেকে প্রায় তিন শতাধিকের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। চেহারা পরিবর্তন করে টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়া হাকিমকে সহজেই কেউ চিনতে পারত না।
গত ৯ আগস্ট এই প্রতারক চক্রের কাছে মাদারীপুরের এক গৃহিণী ৫৮ লাখ টাকা খুইয়ে বিচারের আশায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে গত ২৬ আগস্ট প্রথম ধাপে ৪ লাখ টাকা উদ্ধারসহ এই চক্রের দুই সদস্য জসিম উদ্দিন ও আবদুর রহমান আমানকে চট্টগ্রামের রাউজান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চার দিন অভিযান চালিয়ে মূলহোতা হাকিম চৌধরীকে রোববার ভোরে একই স্থান থেকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ। হাকিমকে নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের অভিযান শেষে স্থানীয় থানায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে সোমবার মাদারীপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদের কাছে হাজির করা হলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালতের বিচারক প্রতারক হাকিম চৌধুরীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।