
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১২ এএম
ফরিদপুরে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২২ পিএম

আরও পড়ুন
ফরিদপুরের চরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ পদ্মা নদীর ভাঙন। গত দুই দশকে জেলা সদরের নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ী, কৃষি জমি, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
হঠাৎ করে গত শুক্রবার বিকাল থেকে ফরিদপুর সদরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের সলিম বিশ্বাসের ডাঙ্গী এলাকার নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের এক কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে পানির তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়।
বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিদের অবগত করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড শুক্রবার মাঝ রাতে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে জরুরীভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং-এর মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়।
নদী তীর সংলগ্ন বাসিন্দা নুরুদ্দিন বিশ্বাস (৭৫) বলেন, শুক্রবার বিকাল থেকে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। পাশেই আমার ঘর, আমি এলাকার অনেককে সতর্ক করি, চেয়ারম্যানকে ফোন করি। সারা রাত ঘুমাইতে পারি নাই।
এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. সাহেদ আলী বলেন, গোলডাঙ্গী ব্রিজ থেকে ৫০ থেকে ৭০ গজ দূরে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। এইটুকু জমি যদি ভাঙনের মধ্যে চলে যায় আমরা যাবো কোথায়।
অভিযোগ করে স্থানীয় অনেকে বলেছেন, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা এবং নদীর পাড় থেকে মাটি কাটায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রশাসন অবশ্য ড্রেজার বসানোর কারণে জরিমানা করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো, মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক বলেন, হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমি রাতেই এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যাই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করি। এক কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণের দাবি জানাই।
ভাঙন বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর মাধ্যমে প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে তিন হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভাঙন রোধে কাজ চলছে।