গলায় ফাঁস দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা, প্ররোচনার অভিযোগে শাশুড়ি গ্রেফতার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪৩ পিএম

কেরানীগঞ্জ
বিয়ের এক বছরের মাথায় কনা আক্তার (১৬) নামে এক বাল্যবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ উঠেছে, যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কনা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের ভাগ্না শান্তিনগর এলাকার ভাড়াবাসা থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় কনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে কনার স্বামী রবিউল আলম ও শাশুড়ি রহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর রহিমা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে স্বামী রবিউল আলম পলাতক রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে কনা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে রবিউলের। কনা তখন নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। কিছুদিন পর তারা দুজন পালিয়ে বিয়ে করে। এরপর কেরানীগঞ্জের ভাড়া বাসায় ওঠে এ দম্পতি। বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য কনার ওপর স্বামী ও শাশুড়ি নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কনা আক্তার আত্মহত্যা করেছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই সুলতান আহমেদ জানান, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। কনার শাশুড়িকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে স্বামী রবিউল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।