পায়রা তাপ বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প
চাঁদার দাবিতে সড়ক কাম-বেড়িবাঁধ কেটে দিয়েছে প্রভাবশালীরা

পটুয়াখালী (দক্ষিণ) কলাপাড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২০, ০৯:৫৪ পিএম

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরপিসিএল) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানীয় প্রভাবশালীকে চাঁদা না দেয়ায় বেড়িবাঁধ কাম-সড়ক কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক কেটে দেয়র পর গুরুত্বপূর্ণ মালামাল পরিবহন বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ওই প্রভাবশালীদের বেপরোয়া তাণ্ডবে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ প্রায়ই বাধার মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ আছে।
এ ঘটনায় পাউবোর কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজের মালিক শামীমুজ্জামান কাসেম বলেন, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি করে উন্নয়ন প্রকল্পের মালামাল ট্রাকযোগে পরিবহন করা হচ্ছে। ওই মালামাল পরিবহনের জন্য লরি-ট্রাক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পেছনের পোনছাইদ বাড়িসংলগ্ন সড়ক কাম-বেড়িবাঁধ ব্যবহার করছে। কিন্তু আকস্মিক ওই এলাকার মৃত আরশেদ মৃধার ছেলে শাহিন মৃধা ও রুবেল মৃধা কর্মস্থলে পৌঁছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে পরিবহন চলাচল আটকে দেয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রাতের আঁধারে সড়কটি কেটে দিয়ে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে মালামাল পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও প্রকল্প এলাকার শ্রমিকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়।
মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রহিম উদ্দিন সফিক, শ্রমিক সুমন হাওলাদারসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বিকালে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্তরা রাস্তার ট্রাক আড়া করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কারণ জানতে চাইলে তারা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল মৃধা বলেন, এসব ভুল তথ্য। ওই সড়কের পাশে একটি ডাইভার্সন সড়ক রয়েছে, সেখানে মাটি নেমে গেছে, কাটা হয়নি। তাছাড়া সড়কটি মেরামত করতে আমরা পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছি কিন্তু কোনো টাকা চাইনি। কাসেম সাহেবের সাথে আমাদের একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করে কলাপাড়া থানার ওসির কাছে একটি লিখিত দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।