Logo
Logo
×

সারাদেশ

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সড়ক নয়, যেন মরণ ফাঁদ

Icon

পটুয়াখালী ও দক্ষিণ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২০, ১১:৩৮ এএম

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল  সড়ক নয়, যেন মরণ ফাঁদ

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের সাথে যোগাযোগের মুল সড়কটি সম্পূর্ন বন্ধ থাকায় চরম র্দুভোগে পরেছে সংশ্লিষ্টরা।যুগান্তর

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের সাথে যোগাযোগের মুল সড়কটি সম্পূর্ন বন্ধ থাকায় চরম র্দুভোগে পরেছে সংশ্লিষ্টরা। আরসিসি নির্মিত এই সড়কটির পুরোনো লোহার রড বেড় হয়ে যাওয়া দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। হাসপাতালের সেবা প্রত্যাশি রোগীদের পাশাপাশি রোগী বাহী এ্যাম্বুলেন্স চালকরাও রয়েছে চরম ভোগান্তিতে।

 

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ভারী মালামাল বহন,টানা বৃষ্টি এবং সংস্কারের অভাবে সড়কটি মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

 

এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন জানায়, সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরসভাকে অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই সংস্কার কাজে হাত দেবে পৌর কর্তৃপক্ষ।

বিগত ২০১৫ সালে পটুয়াখালী পৌরসভার উদ্যোগে মেরামত হয় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের দক্ষিণ পাশের এই সড়কটি। এরপর এই সড়কটিতে আর সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। মেডিকেল কলেজ ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-সম্প্রচার কেন্দ্র, পুলিশ সুপার কার্যালয়সহ একাধিক দাপ্তরিক কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ। এছাড়াও নানামুখী সুবিদার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যানবাহনগুলো এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। উত্তর পার্শ্বের পুরোনো সড়কটি তুলনামূলক কম ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস ধরে ওই সড়কের সকল যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

 

হাসপাতাল সংলগ্ন বাসিন্দা পটুয়াখালীর জ্যেষ্ঠ গনমাধ্যমকর্মী মাসুম খান বলেন-নানা সুবিদার কারনে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পার্শ্বের সড়কটি মূল সড়ক হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি খানাখন্দে পরিণত রয়েছে। দীর্ঘ একমাস যাবৎ সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় রোগী, এ্যাম্বুলেন্সসহ সকল শ্রেণির মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে। বলতে গেলে সড়কটি এখন মরন ফাঁদ!

 

এ্যাম্বুলেন্স চালক লোকমান মাতব্বর, মোস্তফা মিয়াসহ একাধিক চালক বলেন, সড়কটি বন্ধ থাকায় অন্য সড়ক ঘুরে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়। যা রোগীর জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। নানা সুবিদার কারণে হাসপাতালের পুরোন গেটটির বদলে দক্ষিণ পার্শ্বের গেটটি ব্যবহার হয়ে থাকে। চালকরা আরো বলেন-যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা ,লোহার রড বেড় হওয়ার ফলে পায়ে হাটাও বিপদ জনক হয়ে দাড়িয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দীন আরজু ও পৌর মেয়র মো.  মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে মেরামত করা হয়েছিল। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ভারী মালামাল বহন করতে গিয়ে সড়কটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারনে উন্নয়ন কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে আসলেই কাজ শুরু করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম