Logo
Logo
×

সারাদেশ

কালকিনিতে ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

Icon

এইচ এম মিলন, কালকিনি (মাদারীপুর)

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২০, ০৬:০৫ পিএম

কালকিনিতে ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

কালকিনী

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম এলাকার ১০টি গ্রামের প্রায় ১১ হাজার পরিবারের আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের পুরানো সাঁকো। এই সাঁকোটি এলাকার জনগণ নিজেরদের অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেছেন।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রামের রোমারপাড় বড় খালের ওপর স্থানীয় জনগণ নিজেদের উদ্যোগে প্রায় ৩০ বছর আগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। সাঁকোটি দুই বছর পর পর নতুন করে নির্মাণ করতে হয়। তারা নিজেদের উদ্যোগে প্রথম থেকেই এর সংস্কার করে আসছেন।

 

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, চলবল, শশিকর, দক্ষিন চলবল, শশিকর বাজার, নবগ্রাম বাজার ও বেতগ্রামসহ প্রায় ১০টি গ্রামের ১১ হাজার পরিবারের বসবাস। এসব পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৩০ হাজার। এসকল মানুষকে প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাটবাজারের কাজের জন্য প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে শশিকর বাজারে যেতে হয়। কিন্তু তাদের সুবিধার্থে রোমারপাড় বড় খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি পার হতে হয়। স্থানীয় জনগন নিজ উদ্যোগে তাদের যাতায়াতের জন্য এ বাঁশের সাকো নির্মান করেছেন।

 

শনিবার সকালে সরেজমিনে জানা যায়, সাঁকোটি স্থানীয় জনগণ তাদের প্রয়োজনে ১৯৮৬ সালে প্রথম তৈরি করেন। এরপর প্রতিবছরই এর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তবে দুই বছর পর বাঁশের খুঁটি ও চাটাই পরিবর্তন করা হয়। এর সবই চলে স্থানীয় জনগণের আর্থিক সহায়তায়। চলতি বছরের এটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়।

 

দেখা যায়, লোকজন সাইকেল নিয়ে কাধে করে সাঁকো পার হচ্ছেন। সাবধানে চলাচল করছেন সবাই। কারণ, অন্যমনস্ক হলে যেকোনো সময় পড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সাঁকো দিয়ে চলাচলে এলাকার জনগণ নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবগ্রাম যুবসমাজের সভাপতি নৃপেন কুমার বৈদ্য বলেন, বছরের পর বছর এতগুলো গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়া চলাচল করতেছে। রাতের বেলা টর্চ দিয়া পা টিপি টিপি চলা লাগে। পড়ি যাবার ভয় থাকে। কৃষক ধান মাথার করে পার হতে গিয়ে পা পিচলে পড়ে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন।

 

নবগ্রামের বাসিন্দা কৃষক সুজন বলেন, ‘হামার দুঃখকষ্টের কথা কাঁয়ও শোনে না। এই বাঁশের সাঁকোও হামার গুলাক ঠিক করা লাগে।’

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল বলেন, নিজেদের প্রয়োজনে গ্রামের মানুষ এক হয়ে এই বাঁশের সাঁকোটি বছরের পর বছর ধরে নির্মাণ ও সংস্কার করে থাকে। বর্ষার সময় কত যে দুর্ভোগ তা তো দেখতেই পারছেন।

 

নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান বিভুতি ভুষন বলেন, এখানে সাঁকোটি নির্মাণ করতে আমিও সহযোগিতা করেছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বিগত দিনে আমি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে প্রস্তাব দিয়েছি।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, এলাকার জনগণ আমার দফতরে আবেদন করলে আগামী অর্থবছরে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম