Logo
Logo
×

সারাদেশ

জনবল সংকটে ৫০ শয্যার হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২০, ১২:৩৫ এএম

জনবল সংকটে ৫০ শয্যার হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

ছবি: যুগান্তর

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এ হাসপাতালে চিকিৎসকসহ জনবলের অভাবে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা পেতে হিমশিম খেতে হয়। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

কয়েকজন রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে মারামারি, আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ও প্রসূতি রোগীর সংখ্যাই বেশি। রোগীরা হাসপাতালের বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।   

জানা যায়, ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্তত ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় চার রোগী করোনায় অক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।     

হাসপাতালে আসা গৃহিনী পিরোজা বেগম বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা এত বেশি যে চিকিৎসকরা ভর্তি করাইতে চায় না। উনারা বলে জায়গা নেই। কিন্তু অনেক কান্নাকাটি করে আমি আমার মেয়েটাকে ভর্তি করাইছি।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, হাসপাতালের নারী ও শিশু ওয়ার্ডটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফিরোজার শিশুটির ঠিক পাশে ভর্তি হয়েছে স্ত্রীর দ্বারা হামলার শিকার হাফেজ মাও. কামাল হোসেন।

কামাল জানালেন, ‘হাসপাতালে এত রোগী, যে ভর্তিই করাইতে চায় না।’

শুক্রবার সন্ধায় দায়িত্বরত হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বাহারুল আলম বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা হচ্ছে, তবে চিকিৎসক, নার্স টেকনিশিয়ারসহ সব দিক থেকেই লোকবল অপ্রতুল। যেসব চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, সুস্থ হয়ে তারাও দায়িত্ব পালন করছেন। তারপরও স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় কিছু কিছু চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

তবে এখনও আমাদের চিকিৎসকের সংকট রয়েছে। নার্সরাও অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। এই হাসপাতালের অনেক স্টাফও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

চিকিৎসকদের মধ্যেও ৫ থেকে ৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে লোকবলও কমে যাচ্ছে। এমনিতেই ক্রাইসিস তার ওপরে স্টাফরা নিজেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

রোগীদের সংখ্যা এখনও উপচে পড়া জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মেডিসিন বিভাগে রোগীর নির্দিষ্ট বেড হচ্ছে ৫০। তার মধ্যে গত ৪ দিনে দুই শতাধিক মারামারি, আত্নহত্যা চেষ্টাকারী ও সড়ক দুর্ঘটনা রোগী এসেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দুপুরে ৩০জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

ডা. সিরাজুল মুনিরা জানান, ‘প্রসূতি , মারামারি রোগীর সংখ্যা খুব একটা কমেনি, আগে যে হারে আসছিলো এখন সেই হারেই আসছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম