Logo
Logo
×

সারাদেশ

পঞ্চগড়ে বাঘ আতঙ্ক, রাত জেগে গ্রামবাসীর পাহারা (ভিডিওসহ)

Icon

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২০, ১০:৫১ পিএম

পঞ্চগড়ে বাঘ আতঙ্ক, রাত জেগে গ্রামবাসীর পাহারা (ভিডিওসহ)

পঞ্চগড় জেলা সদরের সীমান্ত ঘেঁষা কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখন বাঘের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গত এক মাস ধরে ওই এলাকায় একাধিক বাঘ দেখেছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছে গবাদিপশুও।

বনজঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের ছাপও স্পষ্ট। এদিকে বনবিভাগের দুই দিনের অনুসন্ধানেও দেখা মেলেনি বাঘের। শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধ করা হয়েছে বাঘ অনুসন্ধান কার্যক্রম।

স্থানীয়রা বলছেন, এক মাস ধরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন মুহুরিজোত, সাহেবীজোত, উষাপাড়া ও বাদিয়াগছ এলাকায় বাঘের অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে। তাদের ধারণা, মুহুরিজোত গ্রামের শেষ প্রান্তের প্রায় চার একরের পরিচর্যাহীন একটি চা বাগানে লুকিয়ে থাকতে পারে বাঘ।

এদিকে বাঘের আনাগোনায় পুরো আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকায়। নিরুপায় হয়ে পালা করে রাত জেগে পাহারাও বসিয়েছেন গ্রামবাসী। বাঘ ধরতে ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে এসেছেন বন বিভাগের প্রশিক্ষিত কর্মী। বনবিভাগের কর্মীরা শুক্র-শনিবার মুহুরীজোত এলাকার চা বাগানসহ আশপাশের ঝোপঝাড় কেটে তল্লাশি চালিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো বাঘের দেখা পাননি। 

গত বুধবার বিকালে উষাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম চা বাগানের পাশ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার একটি গরুর উপর আক্রমণ চালায় একটি বাঘ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় গরুটি। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় বাঘটি। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চা বাগানের পাশে এলাকার শত শত উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বাঘ ধরতে ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা এখন একা একা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ হাট বাজারে যাচ্ছেন না। গেলেও দল বেঁধে যাচ্ছেন। এখন রাতে শান্তিতে ঘুমাতেও পারছেন না তারা। প্রতিটি বাড়িতে বড় টর্চ লাইট রাখা হয়েছে। বাঘ আতঙ্কে পালা করে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের মানুষরা। 

মুহুরিজোত এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, গত এক মাস ধরেই এই এলাকায় রাতের বেলা একদল বাঘ দেখা যাচ্ছে। বাঘগুলো আকারে লম্বা ও গায়ে কালো গোল ছাপ রয়েছে। আমরা ধারণা করছি এগুলো চিতাবাঘ। এর মধ্যে দুটি বড় ও তিনটি বাচ্চা বাঘ রয়েছে। রাত হলেই বাঘগুলো বের হয়ে গ্রামের দিকে চলে আসে। 

দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের তথ্যমতে তারা দুটি প্রাপ্ত বয়স্ক ও তিনটি বাচ্চা বাঘ দেখেছেন। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী ধারণা করছি, বাঘগুলো চিতাবাঘ। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা ঢাকা থেকে একটি অভিজ্ঞ টিম পাঠিয়েছেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বাঘের দেখা পাওয়া যায়নি। ফলে বাঘ অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম