Logo
Logo
×

সারাদেশ

মালয়েশিয়ায় কুমিল্লার যুবককে অপহরণ, ১১ লাখ টাকায় মুক্তি

Icon

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৯:৩১ পিএম

মালয়েশিয়ায় কুমিল্লার যুবককে অপহরণ, ১১ লাখ টাকায় মুক্তি

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার টাকই গ্রামের শাহআলম নামের এক প্রবাসীকে অপহরণ করে পরিবারের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা নিয়ে মুক্তি দিয়েছে।

অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকই গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলাম ডিলার ও মাতা আনবের নেছার পুত্র শাহআলম পরিবারের অভাব ঘোচাতে ২০১০ সালে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যায়। 

সেখানে একটি দোকানে কাজ করে আসছিল। গত ১২ আগস্ট বাসায় থাকা অবস্থায় ৫-৭ জনের একদল অপহরণকারী তার কক্ষে প্রবেশ করে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে। এসময় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রথমে তার বন্ধু টাকই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিনের কাছে মোবাইল ফোন করে সমস্যার কথা বলে ৩ লাখ টাকা সহায়তা চায়। 

বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের কাছে জানাতেও নিষেধ করে। তখন জসিম উদ্দিন শাহআলমের দেয়া ০১৭৬৫২০৯০৭২, ০১৭৫৮১৫৭৪৯৩, ০১৭২৬৩৯২৬১৩, ০১৯০৯০৩৪২৪২, ০১৭৬৮১৯৭২৬৪, ০১৭৫৭৮০৯২৫৭ নাম্বারে ১২ আগস্ট ২ লাখ ৫৬ হাজার, ১৪ আগস্ট আরও ২০ হাজার ৪৬০ টাকাসহ মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬০ টাকা প্রদান করেন।

একইভাবে অপহরণকারী চক্র আটকে রেখে ১৩ আগস্ট শাহআলমের মায়ের কাছ থেকে দুই লাখ, মামা কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের দ্যুতিয়াপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের কাছ থেকে একাধিক বিকাশ নাম্বারে ২ লাখ ১০ হাজার, ১৪ আগস্ট ওই একই ব্যক্তির কাছ থেকে ০১৯৪৩৭৯৫১৬৫, ০১৯১৯০৩৪২৪২ দুটি বিকাশ নাম্বারে ৮৪ হাজার, ১৫ আগস্ট ওই মোবারকের কাছ থেকে আবারও ০১৭৫৭৮০৯২৫৭, ০১৭২৬৩৯২৬১৩ নাম্বারে আরও ১ লাখ, একইভাবে ১৫ আগস্ট শাহআলমের ভাগনি বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সুমি আক্তারের কাছ থেকে ১ লাখ এবং ১৬ আগস্ট বিকালে অপহৃতের ভাতিজা নাজমুলের কাছ থেকে ০১৭২৬৩৯২৬১৩, ০১৭৫৭৮০৯২৫৭ এই দুটি বিকাশ নাম্বারে আরও ১ লাখ টাকাসহ একাধিক বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে অপহরণকারীরা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

অপহৃতের স্ত্রী নাছিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ১৪ আগস্ট সকালে আমার স্বামী শাহআলম মোবাইল ফোনে তার বন্দি থাকার কথা জানান। এ সময় তিনি প্রাণে বাঁচার আকুতি জানিয়ে বলেছিলেন আমাকে জীবনে দেখতে চাইলে আমি যেভাবে বলি সেভাবে টাকা পাঠিয়ে দিও। ফলে স্বামীর জীবন শঙ্কার কথা চিন্তা করে বিষয়টি কাউকে বলিনি। পরবর্তীতে ১৬ আগস্ট বিকালে ভাতিজা নাজমুল ১ লাখ টাকা পাঠানোর পর রাতেই অপহরণকারীরা শাহআলমকে তার বাসার কাছে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

১৭ আগস্ট সকালে জ্ঞান ফিরে এলে সে মোবাইল ফোনে বন্দিদশার বিস্তারিত কথা জানান স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম