সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত নদী জাদুকাটায় অবৈধভাবে বালুপাথর উত্তোলন বন্ধে থানা পুলিশের আয়োজনে আইনশৃংখলা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (বিপিএম)’র নির্দেশনায় মঙ্গলবার থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে বালু পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ওসি বলেন, কোভিড-১৯ এ সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো,জেলা প্রশাসন হতে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় তাহিরপুরের জাদুকাটা,মাহারাম,শান্তিপুরসহ যে কোন নদী, হাওর,পাহাড়ি ছড়ায় বালু পাথর উত্তোলন,পরিবহন ইজারা প্রদান,টোল ট্যাক্স আদায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এরপরও কতিপয় দুর্বৃত্ত ও চাঁদাবাজ চক্র আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জাদুকাটা নদীর তীর,নদী মধ্যবর্তী চরের মালিকানা দাবি করে প্রায় রাতেই ব্যবসায়ী নামধারী অসাধু চক্র অবৈধভাবে নদী তীর কেটে, চর হতে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন করে কেনাবেচায় লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন  নানা শ্রেণিপেশার লোকজন। ইতিপুর্বে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যৌথভাবে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে এ দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়েরসহ বালু বোঝাই ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে। এরপরও থামছে না রাতের আঁধারে অবৈধভাবে চুরি করে বালু পাথর উত্তোলনের অপতৎপরতা।

তিনি আরও বলেন,সরকারি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকাকালীন জাদুকাটা,মাহরাম নদী,শান্তিপুর পছাশইল হাওরসহ সব পাহাড়ি ছড়ায় অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনকারী,ক্রয়-বিক্রয়কারী, চাঁদাবাজচক্র কর্তৃক বেআইনিভাবে নদী তীর, চরের মালিকানা দাবিদারদের যে কোন ধরণের অপতৎপরতা বন্ধে জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশ এবার কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, থানার এসআই পাপেল রায়, ফাঁড়ি সহকারি ইনচার্জ এএসআই রাজু বিশ্বাস, উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন,বালু পাথর ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ রয়েল,হুমায়ুন কবির,ওয়াজ উদ্দিন,তোয়াছ উদ্দিন,রানু মিয়া,মজিবুর রহমান,কিরন রায়,আবু লাহাব, মাহমুদ শাহ, শ্রমিকনেতা আব্দুস সাহিদ আজাদ প্রমুখ।