কিডনি রোগে মারা যাওয়া সোহাগের পরিবারের পাশে ইউএনও
এসএম পারভেজ, পিরোজপুর
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২০, ১২:১৫ পিএম
পিরোজপুরের কাউখালীতে কিডনি রোগে মারা যাওয়া দিনমজুর মো. সোহাগের (২৮) স্ত্রী ও দুই সন্তানের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)খালেদা খাতুন রেখা।
দিনমজুর মো. সোহাগ দীর্ঘদিন কিডনি জটিলতা এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সংসারের বোঝা বইতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এমন সংবাদে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা সন্ধ্যা নদী পাড়ি দিয়ে আমরাজুড়ি আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত সোহাগের পরিবারকে আর্থিকভাবে দেখভাল করতে থাকেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সোহাগকে আর বাঁচানো যায়নি।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসার পর ৩১ জুলাই ভোর ৫টায় স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে না ফেরার দেশে চলে যান সোহাগ। সংবাদ পেয়ে আবারও নির্বাহী কর্মকর্তা রেখা সোমবার বিকালে ছুটে যান দিনমজুর সোহাগের বাড়িতে।
সোহাগের স্ত্রী জামিলা বেগম, আট বছরের পুত্র রবিউল ইসলাম জাহিদ ও পাঁচ বছরের আবদুল্লাহকে সান্ত্বনা দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেন দুটি ছাগল, একটি সেলাইমেশিন, ৬০ কেজি চাল, সন্তানদের জন্য শিশুখাদ্য এবং সোহাগের বাবা-মায়ের জন্য পরিধেয় বস্ত্র তুলে দেন ইউএনও।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার হাদিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. সামসুদ্দোহা চাঁন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র ভদ্র, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খান জুলহাস কবীর এবং সোহাগ, সমাজসেবক আবদুল লতিফ খসরু উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মৃত সোহাগ কাউখালীর পশ্চিম আমরাজুড়ি গ্রামের আবদুল গাফফারের ছেলে। তিনি আবাসন প্রকল্পে স্ত্রী, ছোট দুটি সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। সোহাগ পেশায় দিনমজুর ছিলেন।