
প্রিন্ট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
যুবকের পিতৃত্বের ‘দাবি’ নিয়ে ধূম্রজাল!

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২০, ০৫:১৩ পিএম

আবদুল জলিল
আরও পড়ুন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক যুবকের পিতৃত্বের ‘দাবি’ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় কর্মরত আবদুল জলিল (২১) নামের এক যুবক নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দোয়ারাবাজারের এক ধনাঢ্য ও রাজনৈতিক নেতাকে পিতৃত্বের স্বীকৃতি চেয়ে ছবিসহ একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন। এতে ফেসবুকসহ দেশে-বিদেশে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে আবদুল জলিল নামে কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন ওই ধনাঢ্য ব্যক্তি।
আবদুল জলিলের দাবিকৃত পিতা খলিলুর রহমান উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাংলাবাজারের খলিল মার্কেটের স্বত্বাধিকারী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি।
এ বিষয়ে সরেজমিন আলাপকালে স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানান, স্বামী ও পরিবারবিহীন এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বাংলাবাজারের গলিতে সন্তানসহ বসবাস করছিলেন। তাকে নিয়ে নানা আপত্তিকর ঘটনার অভিযোগে কিছুদিন আগে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোর্শেদসহ ব্যবসায়ীরা ওই নারীকে বাজার থেকে বিতাড়িত করেন। এরপর থেকেই ওই বিতাড়িত নারীর পুত্র আবদুল জলিল খলিলুর রহমানকে পিতৃত্বের স্বীকৃতি চেয়ে ধারাবাহিক ফেসবুক স্ট্যাটাস অব্যাহত রেখেছে।
তবে সরেজমিন গিয়ে ওই নারীর কোনো সন্ধান মেলেনি।
প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে খলিলুর রহমান বলেন, আবদুল জলিল নামে কাউকে আমি চিনি না।
তিনি জানান, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জলিল নামের ওই ছেলেকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিতর্কিত ওই নারী ও তার সন্তানদের কারও পিতৃপরিচয় নেই। অনেক বছর আগে স্থানীয় মাঠগাঁও গ্রামের খালিক সরকার নামে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিকেও ফাঁসিয়েছিল ওই নারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জলিলের এসব অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আমি সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাই।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে আবদুল জলিল প্রতিবেদককে জানান, ‘আলোচিত খলিলুর রহমানই আমার জন্মদাতা পিতা। দীর্ঘদিন যাবত আমি পিতৃত্বের দাবি জানিয়ে আসছি। পিতৃত্বের স্বীকৃতি না পেলে ডিএনএ টেস্টসহ শিগগিরই আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হব।'