Logo
Logo
×

সারাদেশ

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

রাজাকার সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধার দুই একর জমি দখল

Icon

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২০, ০৮:৫৫ পিএম

রাজাকার সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধার দুই একর জমি দখল

সং!বাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান।যুগান্তর

রাজাকার সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধার দুই একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিস্ময়কর এমন ঘটনা ঘটেছে খাগড়াছড়িতে। এ অভিযোগ উঠেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রইচ উদ্দিনসহ কতিপয় মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজাকার হিসেবে দালিলিক প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান।

সোমবার বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক নাজির ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, অবৈধ দখলদাররা মামলায় হেরে এখন তাকে প্রাণনাশের হুকমি দিচ্ছে। তিনি পরিবার ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রইচ উদ্দিন, সদর উপজেলা কমান্ডার আব্দুর রহমান, আবুল বশরসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা কতিপয় সহযোগীদের নিয়ে জেলা শহরের শালবাগান এলাকায় ফলজ, বনজ বাগানসহ তার ২ একর জমি জবরদখলের চেষ্টা করেন। রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা পল্লী নাম দিয়ে বহিরাগত এবং নিম্নআয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। বাধ্য হয়ে আমি আদালতে মামলা করি। মামলায় হেরে গিয়ে তার বিরুদ্ধে রাজাকারের অপবাদ দিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাজাকার হিসেবে দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইস উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পল্লীর জন্য যে জায়গা নেয়া হয়েছে সেটা সরকারি এবং আইনের মাধ্যমে জায়গার মালিকানা নির্ধারণ হবে। তিনি আরও বলেন, আব্দুর রহমানের চরিত্র রাজাকারের চেয়েও খারাপ। তিনি যখন জেলা প্রশাসনের নাজির ছিলেন তখন বিভিন্ন মানুষের প্রচুর জায়গা দখল করেছেন। এখন মুক্তিযোদ্ধা পল্লীর জায়গার মধ্যে যদি তার জায়গা থেকে থাকে তো সরকারিভাবে আইনের মাধ্যমে তার সুরাহা হবে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম