Logo
Logo
×

সারাদেশ

ভুল অপারেশনে গৃহবধূর মৃত্যু, সমঝোতার চেষ্টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

Icon

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১১:৩৮ এএম

ভুল অপারেশনে গৃহবধূর মৃত্যু, সমঝোতার চেষ্টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

ভৈরবে ভুল অপারেশনে খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুগান্তর

ভৈরবে ভুল অপারেশনে খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূর স্বামীর নাম মো. কাউসার মিয়া এবং বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ওরাইল গ্রামে। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত খাদিজার শ্বশুর মো. মলফত আলী অভিযোগে জানান, আমার পূত্রবধূকে পিত্তে পাথর অপারেশন করতে এনে ডা. মাসুদুর রহমান ভুল অপারেশনে তাকে মেরে ফেলেছে। ঘটনার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত রোগীকে জোর করে অ্যাম্বুলেন্সে ঢুকিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) নিহতের লাশ হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে রাখা আছে।

 

ঘটনার পর হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, ম্যানেজারসহ সব কর্মচারী পালিয়ে গেছে।

 

জানা গেছে, খাদিজা বেগমের পেটে ব্যথা হলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে অভিভাবকরা গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। তখন ডাক্তাররা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তার পেটে পিত্তে পাথর হয়েছে, তাই অপারেশন করতে হবে। ডাক্তারের কথামতো বৃহস্পতিবার বিকালেই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুর দেড়টায় তার অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগী মারা যায় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে।

 

তার মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর অভিভাবককে সমঝোতা করার চেষ্টা করছে- এমন অভিযোগ রয়েছে। নিহত খাদিজার চাচাশ্বশুর আলমীর জানান, আমার ভাতিজার বউকে হাসপাতালের ডাক্তার মাসুদুর রহমান ভুল অপারেশনে মেরে ফেলেছে। রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা বাড়ি থেকে এসে দেখি লাশ জোর করে অপারেশন রুম থেকে বের করে অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রাখে। খাদিজার শাশুড়ি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার পূত্রবধূ পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এলো কিন্ত এখন লাশ হয়ে গেল।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, ঘটনার খবর পেলেও আমি এখনও কোন অভিযোগ পায়নি। গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনার আবেদন করলেও তাদের এখনও অনুমোদন দেয়া হয়নি। গত তিন দিন আগে সিভিল সার্জনের একটি টিম ওই হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়েছিল। সেদিন হাসপাতালে অনেক অনিয়ম পাওয়া গেছে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেখাতে পারেনি তারা । ডাক্তার কীভাবে কেমন করে অপারেশন করেছে তা আমি জানি না। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

 

এ ঘটনার পর ডাক্তার, নার্স, ম্যানেজার, কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

তবে হাসপাতালের উপদেষ্টা তোফাজ্জল হক জানান, অপারেশনে রোগী মারা যেতেই পারে। অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগী মারা গেছে যা ডাক্তার বলেছে। এটা একটি দুর্ঘটনা। রোগীর অভিভাবকের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম