টাকার লোভে নারীকে খুন করে প্রবাসীর টয়লেটে লাশ গুম

সিলেট ব্যুরো ও ফেঞ্চুগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ১০:২৬ পিএম

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে টয়লেটের ট্যাংকি থেকে জুলেখা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য ট্যাংকিতে রাখা হয়।
বুধবার রাতে উপজেলার মাইজগাঁও গ্রামের মোল্লাটিলায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী মায়া বেগমের বাড়ির টয়লেট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের দায় স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে রুকন উদ্দিন কালু (২০), ইন্দ্র (২১) ও উমন ভক্তা (১৪)। এ ঘটনায় জুলেখা বেগমের ছেলে রুমন মিয়া একটি হত্যা মামলা করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা জানায়, সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য জুলেখা বেগমের জমানো টাকার লোভেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে খুন করা হয়। লাশ লুকিয়ে রাখা হয় টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করেছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থল থেকে লাশের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে। আসামিদের শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, খুন হওয়া জুলেখা বেগম মোল্লাটিলার ভাড়াটে রেদোয়ান মিয়ার স্ত্রী। জুলেখা বেগমের দুই ছেলে ওয়ার্কশপে কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিল। ওই টাকার লোভেই এমন নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটায় তিন ঘাতক।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানায়, জুলেখা বেগমের পাশের বাসাতেই থাকত কালু। কাজ করত পার্শ্ববর্তী এক গরুর ফার্মে। জুলেখা বেগমের সিএনজি অটোরিকশা কেনার পরিকল্পনার কথা শুনেছিল প্রতিবেশী হওয়ায়। ইন্দ্র ও উমনকে বিষয়টি জানানোর পর টাকা লুটে জুলেখাকে খুনের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুলেখা বেগমের ঘরে ঢুকে কালু ও তার সহযোগীরা। তারা গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর জুলেখার লাশ ফেলে দেয় টয়লেটের ট্যাংকিতে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।