![গঙ্গাচড়ায় আমন চারা সংকটে চাষীরা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2020/08/12/image-334271-1597245919.jpg)
রংপুর
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অতিবৃষ্টি, বন্যা আর ভাঙনে তিস্তা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আমন চারা নষ্ট হওয়ায় চারা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে এসব এলাকায় আমন আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা তীরবর্তী কৃষকরা।
চলতি বছর অতিবৃষ্টি ও তিস্তা নদীর কয়েক দফা বন্যা আর ভাঙনে নদী তীরবর্তী গ্রাম বিশেষ করে বিনবিনা, চিলাখাল, বাগেরহাট, চরইচলি, জয়রামওঝা, মটুকপুর, চরবাগডোহরা এলাকায় আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিছু কৃষক অন্য গ্রামের হাট-বাজার থেকে চারা কিনে রোপণ করলেও এখনও অনেক কৃষক চারা লাগাতে পারেননি।
সরেজমিন এসব এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অনেক কৃষকের আমন চারা বালুতে ঢেকে গেছে। আবার কোথাও চারা ক্ষেত ভেঙে গেছে। চরবাগডোহরা গ্রামের কৃষক শাহিনুর, আব্দুল লতিফ, দুলাল মিয়া জানান, তাদের সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে। আমন ধানের চারার অভাবে এখনও তারা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারেননি। তাদের প্রায় ৫ বিঘা জমি পতিত পড়ে আছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর অতিবৃষ্টি ছাড়াও দফায় দফায় তিস্তা নদীর বন্যা ও ভাঙনে প্রায় এক হেক্টর জমির আমন চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উপজেলার একশ'জন কৃষককে চারা দেয়া হবে। এজন্য স্বল্পমেয়াদি জাতের ধানের চারা তৈরি করা হচ্ছে। আর অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তা কৃষকদের দেয়া হবে।