নাসিরনগরে হত্যা মামলার পলাতক আসামির মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২০, ০৯:১৯ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত হাদিস মিয়া (২৮) হত্যা মামলার পলাতক আসামি জলদার মিয়া (৬০) মারা গেছেন। সোমবার রাতে উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের নিজ বাড়িতে আহতাবস্থায় তিনি মারা যান।
জলদার মিয়া ধরমন্ডল গ্রামের সাহাব আলীর ছেলে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ইজিবাইকের সাইড না দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ধরমন্ডল বাজারে নজরুল ইসলাম ও একলাছ মিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধরমন্ডল সড়কে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে নজরুল ইসলামের সমর্থক মো. হাদিস মিয়া বুকে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাদিস মিয়াকে হবিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে একলাছ মিয়ার সমর্থক জলদার মিয়াসহ উভয়পক্ষের আরও ২০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন দাঙ্গাবাজকে আটক করে। জলদার মিয়ার পরিবারের সদস্যদের দাবি- দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জলদার মিয়া আহত হন। তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
পরে হাদিস মিয়ার হত্যা ঘটনায় মরিয়ম চান বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলায় জলদার মিয়া ছিলেন ১২ নম্বর আসামি। মামলা হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন জলদার মিয়া। সোমবার রাত ৭টায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জলদার মিয়া আহত হয়েছিলেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে তিনি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন।
তিনি বলেন, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।