Logo
Logo
×

সারাদেশ

জালিয়াতি করে আসামির জামিন, আইনজীবীর সহকারী গ্রেফতার

Icon

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২০, ০৮:৪১ পিএম

জালিয়াতি করে আসামির জামিন, আইনজীবীর সহকারী গ্রেফতার

বরিশালে আদালতের জিআরওর (জেনারেল রেজিস্টার অফিসার) স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে মামলার এজাহারভুক্ত আসামির ভুয়া জামিন নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকায় এক আইনজীবীর সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় অভিযুক্ত আইনজীবী সহকারী জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদারকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মওদুদ আহমেদ তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের জিআরও আবু তালেব জানান, গত ২৩ জুলাই উজিরপুর থানায় জনৈক ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মারামারীর ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৬ জন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে বাদশা খান নামে এক আসামিকে পুলিশ গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বাকি ৫ আসামি বাদল খান, রফিক খান, হালিম খান, কামাল খান ও আব্বাস খান আদালতে হাজির হননি কিংবা জামিন নেননি। অথচ গত ৩০ জুন সংশ্লিষ্ট আদালতের জিআরও আবু তালেবের স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতি করে বাদশা খানের জামিনের রিকলের (জামিনের প্রমাণপত্র) সঙ্গে জামিন না নেয়া ৫ আসামির নাম যুক্ত করে দালাল জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদার একটি ভুয়া রিকল তৈরি করে উজিরপুর থানায় প্রেরণ করে।

এ নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমানের সন্দেহ হলে তিনি ওই রিকলের সত্যতা যাচাই করেন। যাচাইকালে ৫ আসামির জামিন না নিয়েই থানায় ভুয়া রিকল পাঠানোর বিষয়টি ধরা পড়ে পুলিশের কাছে। ওই সময় সংশ্লিষ্ট জিআরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ৭ জুলাই ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। প্রতারণা মামলা তদন্তকালে প্রতারক জুলহাস ওরফে শাহিন হাওলাদারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে সোমবার উজিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে আটক জুলহাস বিচারক মোহাম্মদ মওদুদ আহমেদের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিভিন্ন আইনজীবীর সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করার সুবাদে তারা ভুয়া জামিনের একটি অবৈধ সিন্ডিকেট তৈরি করেছে বলে স্বীকার করে। আটক জুলহাস অ্যাডভোকেট এইচএম আসাদুজ্জামান বাদশার সহকারী।

স্বীকারোক্তিতে জুলহাস আরও জানায়, সে ও তার সহকারী রিমন দুইজনে মিলে এই স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম