গিনেস বুকে নাম লেখানো জুবায়েরকে সংবর্ধনা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ১০:১৫ পিএম

নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেস ক্যাটাগরিতে মিনিটে ৬৫ বার বল নিক্ষেপ ও ধরে রাখায় বিশ্ব রেকর্ড গড়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানো ঝালকাঠির ২২ বছরের যুবক আশিকুর রহমান জুবায়েরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তাকে সংবর্ধনা দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি। জুবায়েরকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদার। ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটির সভাপতি শাকিল হাওলাদার রনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
৩০ জুলাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের দেয়া এ সংক্রান্ত স্বীকৃতিপত্রটি জুবায়েরের হাতে পৌঁছেছে। এ স্বীকৃতি তাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন তার এ সাফল্যে সংবর্ধনা দিয়েছে।
জানা যায়, ঝালকাঠি জেলা শহরের মসজিদ বাড়ি রোডের জালাল আহম্মেদের ছেলে আশিকুর রহমান জুবায়ের। সে বরিশাল বিএম কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই তার আসক্তি ফুটবলে। লেখাপড়ার পাশাপাশি ফুটবলের বিভিন্ন কলাকৌশল রপ্ত করার চেষ্টা ছিল জুবায়েরের নেশা। মা-বাবার চোখ এড়িয়ে বাসার মধ্যে রুমের দরজা আটকিয়েও করতেন অনুশীলন। কোনো প্রশিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত অনুশীলনই এখন তাকে এনে দিয়েছে বিশ্বসেরার স্বীকৃতি।
২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর জার্মানির মার্কেল গুর্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ‘নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেস’ ক্যাটাগরিতে মিনিটে ৬২ বার বল নিক্ষেপ ও ধরে রাখায় বিশ্বরেকর্ড গড়েন। জুবায়ের মিনিটে ৬৫ বার নেক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচেসে বল নিক্ষেপ ও ধরে রাখায় আগের রেকর্ডটি ভেঙে বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পান।
জুবায়েরের এ সাফল্যে তার পারিবার এবং জেলাবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। সে শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্যও সম্মান বয়ে এনেছে। বিশ্ব সেরার এ স্বীকৃতি পেয়ে ভীষণ আনন্দিত জুবায়ের। তার এ সাফল্যে দেশের ফুটবলপ্রেমী যুবকরা উৎসাহিত হবে বলে সে আশা প্রকাশ করেছে।
গিনেস রেকর্ডের বিষয়ে মো. আশিকুর রহমান জুবায়ের জানায়, নিজের খেয়াল থেকেই এগুলো করেছি। ছোটবেলাতে ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও বেশিদূর এগোতে পারিনি। তবে ইচ্ছা ছিল আলাদা কিছু করার। বাসায় লেখাপড়ার জন্য বাবা-মায়ের কড়া শাসন থাকলেও ঘরের দরজা বন্ধ করেই নিয়মিত চালিয়ে যেতাম প্র্যাকটিস। এক্ষেত্রে পেছনে কোনো প্রশিক্ষক ছিলেন না। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও অনেকেই এর প্রতি ঝুঁকবে বলে আশা করি।