যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশপ্রেমিক শিল্পোদ্যোক্তা

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২০, ১০:৩৫ পিএম

শোকসভায় নুরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক শিল্পোদ্যোক্তা। তিনি যেমন জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন, তেমনি দেশ স্বাধীনের পর, তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক বিনীর্মাণেও সম্মুখ সাহসী শিল্পোদ্যোক্তা ছিলেন। সততার সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার এক অনন্য কারিগর।
বুধবার রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে যুগান্তর রংপুর ব্যুরো অফিস ও স্বজন সমাবেশের আয়োজনে এক শোকসভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। যুগান্তর রংপুর ব্যুরো প্রধান মাহবুব রহমানের সভাপতিত্বে ওই শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রংপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাফিয়া খানম, বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, রংপুর প্রেস ক্লাব সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব রফিক সরকার।
অনুষ্ঠনের প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট সাফিয়া খানম বলেন, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। সাহসের সঙ্গে তিনি সমাজের অন্যায়-অত্যাচার আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শুধু দেশের মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা নন। তিনি দেশের অর্থনৈতিক কার্মকাণ্ডের ভিত্তি শক্তহাতে নির্মাণেরও কারিগর ছিলেন। দেশে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে বিদেশের মাটিতে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান করেননি।
নুরুল ইসলাম একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক একজন শিল্পোদ্যোক্তা ছিলেন। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমও যে শিল্প তার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের মাধ্যমে সমাজের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সংবাদ প্রচারের জন্য তিনি উৎসাহিত করতেন। তিনি সাহসী এ শিল্পোদ্যোক্তা ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবসমাজের মানুষের কর্মসংস্থান করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে বীরের মতো যুদ্ধ করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সততার সঙ্গে সংগ্রাম করে গেছেন। এ কারণে তিনি মানুষের ভালোবাসা জয় করে নিয়েছেন।
শোকসভায় বক্তারা আরও বলেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন সাহসী শিল্পোদ্যোক্তা। দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি হয়েও তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। নিরহংকারী এ মানুষটির মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিক শিল্পোদ্যোক্তাকে হারিয়েছে। শোকসভায় নুরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, রংপুর প্রেস ক্লাব কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব রফিক সরকার, দৈনিক খোলাকাগজের রংপুর অফিস প্রধান সুশান্ত ভৌমিক, মানবজমিন রংপুর ব্যুরো প্রধান জাবেদ ইকবাল, রংপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন, স্বজন সমাবেশ জেলা কমিটির সদস্য সচিব হারুন উর রশিদ সোহেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সময়ের আলোর রংপুর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান আফজাল, রংপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আদর রহমান, দৈনিক যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক উদয় চন্দ্র বর্মণ, আমাদের প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবির বিপ্লব, ফটোসাংবাদিক রণজিৎ দাস, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুরের কোষাধ্যক্ষ ইমরোজ হোসেন ইমু, দফতর সম্পাদক মেজবাহুল হিমেল, দৈনিক সাইফের মহানগর প্রতিনিধি আপেল মাহমুদ, দৈনিক দাবানলের প্রতিনিধি সুমন ইসলাম, দৈনিক পরিবেশের প্রতিনিধি রাব্বী, সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য মোস্তাফিজার রহমানসহ শোকসভায় গণমাধ্যম কর্মীদের পাশাপাশি সমাজসেবী, সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।