
প্রিন্ট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
বন্দরে রেশনকার্ড দেয়ার নাম করে টাকা নেয়ার অভিযোগ

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২০, ১১:২০ পিএম

নারায়নগঞ্জ
আরও পড়ুন
বন্দরে রেশনকার্ড দেয়ার কথা বলে হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বন্দর লেজারাস আবাসিক এলাকা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলিনগর এলাকার প্রতারিতরা কলাগাছিয়া এলাকার শামীমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। শামীম নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের শ্যালক বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বন্দর লেজারাস আবাসিক এলাকা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলিনগর এলাকার ৩৫টি হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে রেশনকার্ডের কথা বলে আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ২ কপি ছবিসহ ৩৫ হাজার টাকা নেয় শামীম।
টাকা নেয়ার সময় শামীম এলাকার মধ্যে এসে বলেন, আমার বোনজামাই চেয়ারম্যান তার কথায় বন্দরের সব কাউন্সিলর চেয়ারম্যান মেম্বার চলে। আমার কাছে কোনো ব্যাপার না, আপনাদের রেশনকার্ড করে দেয়া। কিন্তু অফিসের খরচের জন্য টাকা লাগবে আপনারা যে টাকা দিবেন তাদের রেশনকার্ড করে দেব।
এরপর তারা এক হাজার টাকা করে দেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতারণার শিকার বাকপ্রতিবন্ধী শান্তনা রানী সরকার জানান, গত ঈদুল ফিতরের ৩ দিন পর শামীম হামিদা বেগমের মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে রেশনকার্ড করে দিবে বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ছবি, আইডি কার্ডসহ ১ হাজার টাকা করে নিয়েছে। বলেছে ২২ দিন পর রেশন কার্ড করে দিবে। আমরা ২ বছর চাল, আটা পাব। কিন্তু ২ মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের রেশন কার্ড তো দূরের কথা টাকা ফেরত নিয়েও তালবাহানা করছে।
এ ব্যাপারে শামীম মোবাইল ফোনে জানান, আমার সঙ্গে কোন লেনদেন হয়নি। এ ব্যাপারে ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া জানান, বাইরের কেউ রেশনকার্ডের কথা বলে যদি টাকা নিয়ে থাকে তবে এ দায়ভার তো আর আমি নিতে পারি না।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল জানান, শামীম আমার শ্যালক, সে খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।