নারী আইনজীবীকে ১৭ মাস নিপীড়ন, চিকিৎসক গ্রেফতার
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২০, ০৬:১৮ পিএম
রাজশাহীতে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১৭ মাস ধরে একজন নারী আইনজীবীকে নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৭) এ অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তবে ওই নারী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। আর চিকিৎসক রানার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। রাজশাহী মহানগরীর টিকাপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন। এছাড়া ওই নারী মহানগরীর কোর্ট এলাকার ফুড অফিসের পেছনে বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন। তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতের শিক্ষানবিস আইনজীবী।
ওই নারীর দাবি, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছু দিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল।
ওই নারীর বরাত দিয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, শনিবার দুপুরে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এ সময় ওই নারীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। এছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে রাজপাড়া থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় আনা হয়।
রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান বলেন, কিছু ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক দাবি করছেন, জোর করে নয় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় ওই নারী আইনজীবী বাদী হয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন। চিকিৎসক রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।