Logo
Logo
×

সারাদেশ

জামালগঞ্জে বন্যার পানিতে খামারীর মাথায় হাত

১৫ বছরের আয় ভেসে গেল জলে

Icon

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২০, ০৫:৫৬ পিএম

১৫ বছরের আয় ভেসে গেল জলে

আব্দুল ওয়াদুদ একজন বিদেশ ফেরত মৎসজীবী। পাঁচ একর জমিতে ৬টি মাছের খামার। জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামে তিনি জুনায়েদ মৎস্য খামার নামে একটি খামার স্থাপন করেন কয়েক বছর আগে। এ খামারে ওয়াদুদ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন।

কিন্তু তার স্বপ্নে বাধা হয়ে আসে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বয়ে সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক ভেঙে তার সাজানো স্বপ্নের মৎস্যখামার পানিতে বিলীন করে দেয়।

দীর্ঘ পনের বছর প্রবাসে থেকে নিজের পরিশ্রমে জমানো অর্থ দিয়ে পাঁচ একর জমিতে মৎস্য চাষ শুরু করেন এ প্রবাস ফেরত উদ্যোক্তা। বিনিয়োগ করেন প্রবাসের নিজের সঞ্চয়ের সব অর্থ। স্বপ্ন দেখতেন মৎস্য চাষ করে নিজের বাকি জীবনটা ছেলেদের পড়ালেখাসহ যাবতীয় সংসার খরচ চালাবেন এই খামার থেকে। কিন্তু এবারের বন্যায় সব স্বপ্ন ভেসে গেছে বানের পানিতে। 

বানের পানিতে তার সব মাছ ভেসে যাওয়ায় তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম। সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা।
 
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খামারটির চারদিকের পাড় পানির নিচে। প্রথম ও দ্বিতীয়বার বন্যা দেখা দিলে নিজের আত্মরক্ষার স্বার্থে নেট দিয়ে সাময়িকভাবে ঘিরে রাখলেও ৩য়বার বন্যায় আর শেষরক্ষা হল না। নেটজাল ও পাড় ভেঙে গিয়ে বানের পানিতে ভেসে যায় বিভিন্ন প্রজাতির সব মাছ। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া সৌদি থাকতেন তার বাড়ি ছিল সাচনাবাজার ইউনিয়নের শুকদেবপুর গ্রামে, বিবাহ সূত্রে এখানে আসা। দেশে ফিরে এখানে এসেই নিজের যা উপার্জন ছিল তা দিয়ে এই মৎস্য খামার করেন। কিন্তু এবার তয় দফায় বন্যায় ভেস্তে গেল তার স্বপ্ন। 

আব্দুল ওয়াদুদ যুগান্তরকে জানান, দীর্ঘদিন সৌদিআরব থেকে দেশে এসে কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই খামার করেছিলাম। প্রতিটি মাছ ১ কেজি থেকে ৭শ' গ্রাম ওজন হয়েছিল। এতে করে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভ হতো। বন্যায় আমার মৎস্য খামারটি বানের পানিতে ভেসে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আমার স্বপ্নেরও অপমৃত্যু ঘটল।

খামারী ওয়াদুদ বলেন, ৫ একর জমি ২০ লাখ টাকায় ক্রয় করে খামারে ১৫ লাখ টাকার উপরে বিনিয়োগ করেছিলাম। আশা ছিল আগস্ট মাসে মাছ বিক্রি হলে ৪-৫ লাখ টাকা আয় হবে। কিন্তু বন্যায় আমার সব স্বপ্ন ভেসে গেল। এ ক্ষতি কিভাবে পোষাব তা ভেবে পাচ্ছি না।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম