Logo
Logo
×

সারাদেশ

হারিয়ে যাওয়া মাকে ৩ বছর পর ফিরে পেল সন্তান

Icon

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২০, ০৪:৩৬ এএম

হারিয়ে যাওয়া মাকে ৩ বছর পর ফিরে পেল সন্তান

ছবি: যুগান্তর

তিন বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর মা হারিয়ে যান। শিশু বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানের (১৮) কষ্টের জীবন কাটছিল। বিভিন্ন স্থানে মাকে খোঁজে মেহেদী।  

মায়ের খবর পেলেই ছুটে গেছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। অবশেষে তিন বছর পরে বৃহস্পতিবার রাতে শরণখোলার তাফালবাড়ি বাজারের এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে খুঁজে পায় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় মা মেরিনা বেগমকে (৪৮)।

দীর্ঘদিন পরে মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ছেলে। রাত ৯টার দিকে ওই নারীকে শরণখোলা প্রেসক্লাবে নিয়ে এলে সব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ছেলের কাছে তুলে দেয়া হয় মাকে।

ছেলের কাছে থাকা মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার গগণ গ্রামে মেরিনা বেগমের বাড়ি। স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই তার জন্ম।

ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, দিনমজুর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই মা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তাদের তিন ভাইবোনকে রেখে হঠাৎ একদিন মা নিখোঁজ হয়।

বরিশাল, খুলনা ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় খুঁজেছি। ছয়মাস আগে আমাদের এলাকার পরিচিত এক ব্যবসায়ী শরণখোলায় এসে মায়ের মতো একজনকে দেখেছেন বলে জানান।

খবর পেয়ে ওই সময়ও এসেছিলাম কিন্তু মাকে পাইনি। তখন তাফালবাড়ি বাজারের বাদল হাওলাদার নামের এক জুতার দোকানদারকে আমার মোবাইল নম্বর ও মায়ের ছবি দিয়ে যাই; সন্ধান পেলে জানাতে বলি।

তিনি-ই মাকে দেখে আটকে রেখে আমাদের খবর দেন। পরে মামা মিন্টু বেপারিকে নিয়ে মায়ের কাছে আসি। ওই ব্যবসায়ীর কারণে আজ আমার মাকে ফিরে পেয়েছি।

সন্ধানদাতা তাফালবাড়ি বাজারের জুতার ব্যবসায়ী মো. বাদল হাওলাদার বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে ওই নারীকে তাফালবাড়ি বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখি। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও কখনও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে দেখিনি তাকে।

‘প্রায়-ই আমার দোকানের সামনে এসে হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকতো। দু-এক টাকা দিলে চলে যেতো। ছেলের কাছে তার মাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে।’

মেরিনা বেগমরে ভাই মো. মিন্টু বেপারী হারিয়ে যাওয়া বোনকে ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত। তিনি শরণখোলাবাসী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম