Logo
Logo
×

সারাদেশ

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২০, ১১:৫৯ এএম

গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

বন্যার কারণে বাঁধে আশ্রয় নেয়া কয়েকটি পরিবার

ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সব নদীর পানি পুনরায় দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।

এর আগে গত কয়েক দিন ধরে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যাকবলিত সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাগুলোয় ঘরবাড়ি থেকে পানি কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু নতুন করে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও ওইসব বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ফলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭১ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি এ সময় গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অপরদিকে করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ২৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮ সে.মি. উপর দিয়ে বইছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ১৬ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

এদিকে করতোয়া নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি, তালুককানুপুর ও হরিরামপুর ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বেশকিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছে। অপরদিকে পলাশবাড়ি উপজেলার কিশোরগাড়ি ও হোসেনপুর ইউনিয়নের নিচু এলাকা ডুবে গেছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৫৬ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ২৯টি ইউনিয়ন এখন বন্যাকবলিত। ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৬ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৫৩০ টন চাল, নগদ ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫ হাজার ৬৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার সাহায্য হিসেবে সরবরাহ করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম