দেহ উদ্ধারের ১০ দিন পর ব্রাহ্মণপাড়ার পুকুরে মিলল মাথা

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ১২:৩২ এএম

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় দেহ উদ্ধারের ১০ দিন পর ওই ব্যক্তির মাথা পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে কুমিল্লার পিবিআই। ওই মামলার গ্রেফতার জামাল হোসেনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে পুকুর থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
মো. জামাল হোসেন (৫০) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাটেরা গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের নির্জন এলাকায় গত ১০ জুলাই দুপুরে একটি মস্তক বিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ওই দিনই ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন ও পরিদর্শক তদন্ত জাকির হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মস্তক বিহীন লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে পুলিশ।
মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই পুলিশ কুমিল্লা। ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পিবিআই সোমবার সকালে জামাল হোসেনকে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
নিকট জামাল হোসেন জানায়, তারা কয়েকজন মিলে ওই ব্যক্তিকে খুন করে লাশ ও মস্তক আলাদা করে রেখেছিল। কিন্তু তারা ওই ব্যক্তিকে চেনে না। সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে চেনে এবং তাদের সঙ্গেই মৃত ব্যক্তির দ্বন্দ্ব ছিল। লোকটিকে খুন করে মাথাটি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছিল।
কুমিল্লার পিবিআই পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বলেন, গ্রেফতার হওয়া জামাল হোসেন খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার তথ্য মতে ঘটনাস্থলের পাশের পুকুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো মস্তকটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে খুনের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের সঙ্গে ছিল জামাল হোসেন। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদেরকে গ্রেফতার করলেই নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।