বন্যায় শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ০৯:৩১ এএম
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর কাছে আরও ২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শেরপুরের চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরপক্ষীমারী.কামারের চর,চরমোচারিয়া ও বলাইরচর ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
বন্যার পানিতে সবজি ক্ষেত,বীজতলা ও পাট ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পোড়া দোকান ও শিমুলতলী ডাইভারশনের ওপর দিয়ে প্রবলবেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে শুক্রবার সকাল থেকে শেরপুর-জামালপুর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মানুষজন নৌকায় করে যাতায়াত করছে।
ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী কলুরচর-বেপারীপাড়া গ্রামের অধিকাংশ ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় ওই গ্রামের ৩৮০টি পরিবার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওই এলাকার পাশে জামালপুর শহররক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান,বন্যায় শেরপুর সদর উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা ও ২ হেক্টর জমির সবজি আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন জানান, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শনিবার কামারের চর ও চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ১২ মেট্রিক টন চাল,আলু,খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।