Logo
Logo
×

সারাদেশ

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে চাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ১৮ লাখ টাকা খোয়া

Icon

শেরপুরে (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২০, ১০:৫২ এএম

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে চাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ১৮ লাখ টাকা খোয়া

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে বগুড়ার শেরপুরের তাপস কুমার মোহন্ত ওরফে মনো (৪২) নামের এক চাল ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে শজিমেকে মারা গেছেন।

অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে শাহজাহানপুরের জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে তার কাছে থাকা প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে মৃত ব্যবসায়ীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর (কালিতলা) গ্রামের শম্ভু মোহন্তের ছেলে তাপস কুমার মোহন্ত ওরফে মনো চাল কেনার জন্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা জেলার মহিমাগঞ্জ উপজেলায় যান। চাল পছন্দ না হওয়ায় মনো ওই দিন সন্ধ্যায় বাসে করে বাড়ি ফিরছিল। বাসের ভিতরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে কোমল পানীয় কোকের ভিতরে নেশা জাতিয় দ্রব্য খাইয়ে দেয়। এতে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে মনোর কাছে থাকা প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে শাহজাহানপুর উপজেলার জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়।

পরে শাহজাহানপুর থানার এসআই  রাজু কামাল খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ সেনা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে পড়া থাকা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের কাকা বিমল মোহন্ত জানান, তাপস মোহন্ত একজন চাল ব্যবসায়ী। ব্যবসার খাতিরে বৃহস্পতিবার সকালে চাল কেনার জন্য বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা নিয়ে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে যায়। সেখানে চাল কিনতে না পারায় বাসে বাড়ির দিকে ফিরছিল। ধারণা হচ্ছে বাসের মধ্যেই তাপসকে কোমল পানীয় দ্রব্যের মধ্যে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়। এ দিকে রাতে সে বাড়িতে না ফেরায় চিন্তার মধ্যে পড়ে যায় পরিবারের লোকজন।

এ ব্যাপারে বগুড়ার কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আজিজ মণ্ডল বলেন, শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই ব্যবসায়ী তাপস মারা যান। ওই ব্যবসায়ীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম