Logo
Logo
×

সারাদেশ

রায়পুরে সাবেক চেয়ারম্যান হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি ১৩৭

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২০, ০৩:০৪ পিএম

রায়পুরে সাবেক চেয়ারম্যান হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি ১৩৭

ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হোসেন দেওয়ানসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অচেনা ৯০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

এজাহারে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খলিফা, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হোসেন দেওয়ান, রুহুল আমিন খলিফা ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলহাস খলিফাসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এজাহার সূত্র জানা গেছে, ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারের উত্তর চরবংশী খাসের হাটের কার্যালয়ে তার উপস্থিতিতে যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমানসহ কয়েকজন কথা বলছিলেন।

হঠাৎ করে মামলার আসামিরা আলতাফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ ঘটনায় মোখলেছ পান্নুসহ ১১ জন আহত হন। হামলাকারীরা আলতাফ হোসেনের ব্যবহৃত গাড়ির সামনের কাঁচ ও কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। এতে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।

গত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রাথীর প্রতিদ্বন্ধিতা করার পর থেকেই আলতাফ হোসেনকে হত্যার হুমকি ও হামলা চালানোর চেষ্টা অব্যাহত ছিলো বলে এ অভিযোগ এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুনুর রশিদ ও আলতাফ হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে তাদের অনুসারীদের মধ্যে কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য নিয়েই দুগ্রুপের মধ্যে ১০ জুলাই রাতে হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে একই ঘটনায় রোববার চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের অনুসারি ইউনিয়ন আ'লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খলিফা বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যাচেষ্টা মামলাটি তদন্তের জন্য হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার হয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম