Logo
Logo
×

সারাদেশ

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা!

Icon

সাজাহান সরকার, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ০৫:২৯ এএম

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা!

ছবি: যুগান্তর

কাঁচামরিচের দাম ৩০০ টাকা কেজি! দাম শুনে চোখ কপালে তুলছেন ক্রেতারা। এতে রীতিমতো মরিচের বাজারে আগুন বলে রসিকতা করছেন তারা।  

সোমবার সকালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া সদরবাজার, গোপালপুর, দড়গ্রাম, ধানকোড়া, বালিয়াটি, জান্নাসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে মরিচের এ চড়া দাম দেখা গেছে।   

কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সব ব্যবসায়ীর দোকানে কাঁচামরিচ নেই। হাতেগোনা দুয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে থাকলেও পরিমাণে অল্প এবং বেশিরভাগ পাকা ও আংশিক পচা। তার পরও দাম ৩০০ টাকা কেজি।

কাঁচামরিচ কিনতে আসা ঘিওর গ্রামের আ. কুদ্দুস মেম্বার যুগান্তরকে জানান, এক কেজি দাম ৩০০ টাকা হলেও এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) ৮০ টাকা দাম গুনতে হচ্ছে।           

কাঁচামরিচ ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে অনেক মরিচগাছ তলিয়ে গেছে। তাই কাঁচামরিচের সংকট।

সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনে চড়া দামে মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। কৃষকের নতুন আবাদের কাঁচামরিচ বাজারে না আসা পর্যন্ত এ চড়া দাম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

তা ছাড়া প্রতি বছর বর্ষার শেষ মৌসুমে এ সময় মরিচের দাম একটু বেশিই থাকে।
 

সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের সুরুচী হোটেল মালিক ব্যবসায়ী মিন্টু বসাক যুগান্তরকে বলেন, হোটেলের জন্য প্রতিদিন প্রায় এক কেজি মরিচ লাগে। কাঁচামরিচ কিনতে গিয়ে দেখি, দাম ৩০০ টাকা কেজি। তিন কেজি প্রয়োজন থাকলেও চড়া দামের কারণে কিনেছি এক কেজি।  

সাটুরিয়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী কানু মিয়া জানান, মানিকগঞ্জের বরংগাইল আড়ত কাঁচামরিচের জন্য বিখ্যাত। সেখানেও চাহিদার তুলনায় মরিচ সংকট।

চড়া দামের কারণে ২০ কেজির থেকে মাত্র তিন কেজি কাঁচামরিচ আমদানি করেছেন তিনি। তাও মরিচের বেশিরভাগ পাকা। কেজি দরে দাম জেনে ক্রেতারা কিনছে ১০০-২০০ গ্রাম করে।

জানা গেছে, বিগত ঈদুল ফেতরে খুচরাবাজারে এক কেজি কাঁচামরিচের দাম ছিল ৫০-৭০ টাকা। গত সপ্তাহেও বিভিন্ন হাটে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০-৩০০ টাকা কেজি দরে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম