Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড যেন ইজিবাইকের সড়ক

Icon

আলামিন প্রধান, ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ)

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২০, ০৩:০৭ পিএম

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড যেন ইজিবাইকের সড়ক

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে কয়েক হাজার ইজিবাইকের দাপাদাপিতে মোটরচালিত যান চলাচলে হিমশিম খাচ্ছে। 


হর্ন আর চিৎকারেও সড়কে ইজিবাইকের সাইড পায়না মোটরচালিত যানবাহন। এতে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সড়কে ইজিবাইকের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল প্রতিনিয়তই বাড়ছে।


জানা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরনো সড়ক ও লিংক রোডসহ পাগলা থেকে ভুঁইগড়, পাগলা থেকে জালকুড়ি, শিবু মার্কেট থেকে পোস্ট অফিস, জেলা পরিষদ থেকে নবীগঞ্জঘাট, শিবু মার্কেট থেকে হাজীগঞ্জ, পঞ্চবটি থেকে ধর্মগঞ্জ, পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর, পঞ্চবটি থেকে বক্তাবলীঘাট, কাশিপুর থেকে শহরের ডায়মন্ড সিনেমা হলসহ আরও একাধিক রুটে প্রভাবশালীদের মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে অবৈধ এসব ইজিবাইক চলাচল করছে। 


এর মধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরনো সড়ক থেকে একাধিকবার চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হলেও ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। গ্রেফতারের পর কয়েক দিন জেল খেটে জামিনে এসেই ফের ইজিবাইক মালিক ও চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে চক্রটি। 


 এ ছাড়া অন্য সড়কগুলোতে ইজিবাইক চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোনো সময় পুলিশ অভিযান চালায়নি। তবে লিংক রোডে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে র‌্যাব ও পুলিশের তৎপরতায় চাঁদাবাজি একেবারেই বন্ধ রয়েছে। 


ফলে এ সড়কটিতে কিছু সুবিধাবাদী লোকজন ২০-৩০টা করে ইজিবাইক কিনে ভাড়া দিয়েছেন। এতে প্রায় এক হাজারেরও বেশি ইজিবাইক লিংক রোড দাবড়ে বেড়াচ্ছে। 


সাইন বোর্ড থেকে চাষাড়া রাইফেলস ক্লাব পর্যন্ত ইজিবাইকগুলো চলাচল করে থাকে। 


ট্রাকচালক আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, যত জরুরি প্রয়োজনই থাকুক না কেন, দ্রুতগতিতে এখন আর লিংক রোড দিয়ে গাড়ি চালানো যায় না। 


ইজিবাইক সড়কের পুরো অংশই দখল করে চলাচল করে। একটু দ্রুত গাড়ি চালালেই একসঙ্গে কয়েকটি ইজিবাইক চাপা পড়ে। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।


খাবার হোটেল মালিক সুজন বলেন, লিংক রোডে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করা না হলে দুর্ঘটনা ঘটবেই। সরকারিভাবে ইজিবাইকের অনুমোদন দিলে কেউ একসঙ্গে একাধিক ইজিবাইক কিনে সড়কে জট লাগাতে পারত না। 


ইজিবাইকচালক আলী হোসেন বলেন, ফতুল্লার অনেক এলাকায় প্রকাশ্যে কারখানা দিয়ে ইজিবাইক তৈরি করে বিক্রি করছে। ইজিবাইক বিদ্যুৎ খরচ করছে, মানুষও এটি দিয়ে সহজে অল্প ভাড়ায় যাতায়াত করছে। অনেকেই ইজিবাইক চালিয়ে আয় রোজগার করে সংসার চালাচ্ছে। সেহেতু সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ থাকবে ইজিবাইকের অনুমোদন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হোক।


ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। যদি কেউ ইজিবাইক অথবা অন্য পরিবহন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইজিবাইকের অনুমোদন আমরা দিতে পারি না।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম