পলাশ ক্লাবের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের হোম ডেলিভারি
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২০, ০২:১৬ পিএম
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নাগরিকদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের হোম ডেলিভারি চালু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পলাশ ক্লাব।
পলাশ ক্লাবের নেতৃত্বে স্মাইল, দুরন্ত পলাশ, উদ্দীপ্ত তারুণ্য, বিডি ক্লিন, পলাশ উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাব, পলাশের পাপড়ি ও ফ্রেন্ডস জগরণী সংসদের ১০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিদিন এলাকার শতাধিক পরিবারের কাছে এই সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের হোম ডেলিভারির পাশাপাশি সংগঠনগুলো গত ২৪ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখ লিটার জীবাণুনাশক ছিটিয়েছে। এলাকার সকল গণপরিবহন ও মসজিদ জীবাণুমুক্ত করেছে।
মসজিদগুলোতে হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড ওয়াশ সরবরাহ করেছে। এই পুরো কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পলাশ ক্লাবের সভাপতি আল মুজাহিদ হোসেন তুষার। তিনি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এবং পলাশ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। মুজাহিদ তুষার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
মুজাহিদ তুষার জানান, দেশে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যাওয়ার পরপরই অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থা দেখে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করি। দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত নেই ইফেক্টিভ কিছু করার। এর ফল আমরা পেয়েছিও। নারায়ণগঞ্জের লাগোয়া উপজেলা হলেও সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা এখনো ভালো অবস্থানে আছি।
করোনার প্রভাব যত দিন শেষ না হবে এই কার্যক্রম তত দিন চলমান থাকবে উল্লেখ করে তুষার জানান, রমজানে আরও বড় পরিসরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া পলাশ উপজেলায় কাজ করেন এমন পুলিশ সদস্য, ডাক্তার ও সাংবাদিকদের মধ্যে পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার।
মুজাহিদ তুষার মনে করেন তৃণমূল পর্যায় থেকেই ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়ের প্রয়োজন। তিনি বলেন, দেশের নানা প্রান্তে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে। তবে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হলে মানুষ বেশি পরিমাণে খাদ্য পাবে এবং কেউ বাদ যাবে না। এটা করা গেলে প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের ঘরে খাদ্য পৌঁছানো নিশ্চিত করাও সম্ভব হতো।