গুরুদাসপুরে ঋণের কিস্তি আদায়ে জবরদস্তি
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২০, ১০:৩৪ পিএম
নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে হতদরিদ্রদের আয় কমায় সব এনজিওর ঋণ আদায় বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এতে দরিদ্র শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষগুলো খুশি হলেও গুরুদাসপুরের এনজিও কর্মীরা সে আদেশ অমান্য করে জবরদস্তি করে হলেও ঋণের কিস্তি আদায় করছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এনজিও থেকে ঋণ গ্রহীতা জাহানারা বেগম, আসমা খাতুন, রোকেয়া বেগমসহ অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে তারা ঋণ নিয়েছেন। প্রায় সবাই ওই ঋণের টাকা নিয়ে অটোভ্যান ক্রয় করেছেন। তাদের স্বামীরা অটোভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। সেখান থেকে বাঁচিয়ে ঋণের কিস্তি দেন।
তারা জানান, দুই সপ্তাহ হল করোনাভাইরাসের কারণে মানুষজনের চলাফেরা কমে গেছে। আগে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার হতো। বর্তমানে ১০০ টাকা আয় হয় না। তা দিয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসারই চলে না কিস্তি দিবে কোথা থেকে। এনজিওর কর্মীরা এসে জবরদস্তী করছে। এমনকি গালমন্দও করছে।
তারা আরও জানান, শুনেছি গত রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ ও করণীয় বিষয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে এ সব নির্দেশনা জারি করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। ডিসি কিস্তি নিতে নিষেধ করেছে তাতো তারা মানছে না। আমরা এখন কিস্তি দিব কীভাবে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুদাসপুর শাখার ম্যানেজার ফজলুল করিম জানান, কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জানি কিছু মানুষের কিস্তি দেয়া কষ্ট হচ্ছে। বন্ধ রাখলে পরে একসঙ্গে দেয়া আরও কষ্ট হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালাতে বাধ্য বলে তিনি জানান।
আরও একটি প্রতিষ্ঠানের নাটোরের জোনাল ম্যানেজার আবুল গফফার বলেন, ডিসি সাহেবের বক্তব্য শুনেছি। এ ব্যাপারে ম্যানেজমেন্টকে জানানো হয়েছে। এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে অতি সত্বর ম্যানেজমেন্ট তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, আগামী জুন পর্যন্ত এনজিওর কিস্তি আদায় করা যাবে না। কোনো এনজিও কিস্তি আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।