করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ইসির নির্বাচনী প্রশিক্ষণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২০, ১০:৫৪ এএম
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ইসির নির্বাচনী প্রশিক্ষণ। ছবি: যুগান্তর
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঝুঁকির মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-চসিক নির্বাচনের ভোটগ্র্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ৬ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে জেলা নির্বাচনী কার্যালয়।
শুক্রবার নগরীর চারটি ভোটকেন্দ্রে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিডিএ পাবলিক স্কুল, খাজা আজমেরি উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাহাড়তলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
করোনা বিস্তার রোধে সারা দেশে সভা, সমাবেশ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও প্রচারণা সীমিত করতে বলা হয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল চসিক নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।
রিটার্নিং অফিসারে কার্যালয় সূত্র জানায়, সকাল ৯টা থেকে চারটি স্কুলে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়। অতিরিক্ত ৫ শতাংশসহ মোট ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ হবে। এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৭৩৫ জন, ৫ শতাংশ অতিরিক্তসহ ৭৭২ জন।
সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার চার হাজার ৮৮৬ জন, ৫ শতাংশ অতিরিক্তসহ পাঁচ হাজার ১৩০ জন, পোলিং অফিসার ৯ হাজার ৭৭২ জন, ৫ শতাংশ অতিরিক্তসহ ১০ হাজার ২৬১ জন। তিন ধাপে এ প্রশিক্ষণ চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। দু’দিন করে প্রশিক্ষণের প্রতি ধাপে সাড়ে পাঁচ হাজার করে কর্মকর্তা অংশ নেবেন। প্রথম দিনে দক্ষিণ পাহাড়তলী, জালালাবাদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, মোহরা, পূর্ব ষোলশহর, উত্তর পাহাড়তলী, উত্তর কাট্টলী, পাহাড়তলী, পাঠানটুলি, পূর্ব মাদারবাড়ি ও গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ হয়েছে।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা একাধিক কর্মকর্তা বলেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। এর মধ্যে আবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ। নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি। তার পরও প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে নির্বাচন করার কোনো মানে হয় না।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান যুগান্তরকে জানান, নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে দুই হাজারের বেশি কর্মকর্তা অংশ নিয়েছে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে কমিশন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি সংক্রান্ত কার্যক্রম চালানো হবে।