Logo
Logo
×

সারাদেশ

মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় কিলার দিয়ে শাহজাদপুরের ইয়াকুবকে খুন!

Icon

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২০, ১০:৪৪ এএম

মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় কিলার দিয়ে শাহজাদপুরের ইয়াকুবকে খুন!

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার খুকনি ইউনিয়নের রুপনাই গাছপাড়া গ্রামের তাঁত শ্রমিক ইয়াকুব আলীকে (২০) ভাড়াটিয়া কিলার দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ইয়াকুব যে তাঁত ফ্যাক্টরির শ্রমিক ওই ফ্যাক্টরির মালিক খুশি আলম (৪০) ভাড়াটিয়া কিলার দিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করিয়েছে।

এ মামলায় গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।

এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ৩ জনকে আটক করেছে। তারা হল ভাড়াটিয়া কিলার রুপনাই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে আবদুর রহমান (৫০), রুপনাই গাছপাড়া গ্রামের রইজ মোল্লার ছেলে আবদুর রহিম (৪৮) ও খুকনি কান্দিপাড়া গ্রামের মধু প্রামাণিকের ছেলে তাঁত ফ্যাক্টরির মালিক খুশি আলম (৪০)।

এ বিষয়ে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনায়েতপুর থানার এসআই আল মামুন জানান, গত ৬ জানুয়ারি রাতে ইয়াকুব আলীকে খুনিরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর খুকনি আটারদাগ টাকিমারা বিলের সরিষা ক্ষেতে নিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যার পর সেখানে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরদিন দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতর বাবা ইয়াসিন আলী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এনায়েতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে পুলিশ এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে।

এসআই আল মামুন জানান, অনেক চেষ্টার পর মঙ্গলবার সকালে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত ভাড়াটিয়া কিলার আবদুর রহমানকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এ হত্যার পর থেকে সে দীর্ঘদিন এলাকায় ছিল না। এদিন গ্রামে ফিরে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদিন রাতেই আবদুর রহিম ও খুশি আলমকে আটক করা হয়।

আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবদুর রহিম ও আবদুর রহমান জানায়, মালিক খুশি আলমের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ইয়াকুব। এ বিষয়ে বারবার সাবধান করার পরও তিনি সংশোধন হচ্ছিলেন না। এ ক্ষোভ থেকে খুশি আলম তাদের অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করে। তার নির্দেশেই ইয়াকুবকে হত্যা করা হয়।

এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। আশা করি তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিবে। বাকি যারা জড়িত রয়েছে তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে নিহতর বাবা ইয়াসিন আলী জানান, আমার ছেলেকে হত্যার পর শোকে আমার মা মারা গেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম