করোনা আতঙ্কে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান স্থগিত
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২০, ১২:৩৯ পিএম
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় তিনদিনের লালন স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন।
করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণে স্মরণোৎসবের তৃতীয় ও শেষদিনের আলোচনা সভা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসন (ডিসি) আসলাম হোসেন।
পাশাপাশি লালন আখড়াবাড়ি এলাকায় আগত লালনভক্ত-অনুসারী ও দর্শনার্থীদের মাজার প্রাঙ্গণ ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন প্রশাসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। গত শনিবার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে শুরু হয় তিনদিনের লালন স্মরণোৎসব।
সোমবার রাতে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। মঙ্গলবার রাতে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিনে এবারের স্মরণোৎসব শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার দুপুরে পুণ্যসেবার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাধুসঙ্গ। এর আগে অধিবাস, বাল্য, রাখালসেবা পালন করেন সাধুরা। মূলত সাধুসঙ্গ শেষে সোমবার বিকাল থেকে অনুসারীরা আখড়াবাড়ি ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ি যেতে শুরু করেন।
দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তদের পদচারণয় মুখর আখড়াবাড়ি মঙ্গলবার সকালে প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা লালন মাজারে ধর্মগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। পরে গুরু কার্যের মাধ্যমে গুরু শিষ্যের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা ফিরে যাচ্ছেন।
লালন অনুসারীরা বলছেন, এখান থেকে অর্জিত লালন দর্শন লোকালয়ে ছড়িয়ে দেবেন তারা। তবে বেঁচে থাকলে ভাব তথ্যের আশা পূরণ করতে বা পূর্ণতা সাধনের জন্য তারা আবারও পরের উৎসবে যোগ দেবেন।
ভক্তদের মতে, লালন তীর্থস্থানে এলে মনের কলুষতা থাকে না। তাই অবাধ্য মনকে শুদ্ধ করতে সাধু-ভক্তরা বারবার আসবেন ভবের হাটে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, জনসমাগম জায়গায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মাজার প্রাঙ্গণ ছেড়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।