শিক্ষা কর্মকর্তার ধমকে ৪ দিন ধরে হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২০, ১১:২৬ এএম
হাসপাতালে ভর্তি প্রধান শিক্ষক। ছবি: যুগান্তর
মৌলভীবাজারের বড়লেখা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞার বিরুদ্ধে তারাদরম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরিকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। তার ধমকে ওই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে ৪ দিন যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার তারাদরম প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরি বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের গভীর নলকূপ ও ওয়াশ ব্লক নির্মাণ কাজ তদারকি করছিলেন। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞা ওই স্কুল যান।
বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তিনি প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরিকে চেয়ারে বসা দেখেই ধমকানো শুরু করেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক তার ক্লাস নেই ও অসুস্থতার কথা বলতেই তিনি আরও ক্ষেপে উঠেন এবং মারতে উদ্যত হন। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাকে নিবৃত্ত করেন।
শিক্ষা কর্মকর্তার এমন আচরণে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত ৪ দিন যাবৎ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালে ভর্তি প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসে বসা দেখেই তাকে অশ্লীল গালাগাল দিতে থাকেন। অসুস্থতা ও ক্লাস নেই জানালে ক্ষেপে গিয়ে ধমকাতে ধমকাতে আমার হাতের লাঠি নিয়ে মারতে উদ্যত হন। এতে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞা জানান, প্রায়ই তারাদরম প্রাইমারি স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায় না। পেলেও ক্লাস টাইমে শিক্ষকদের নিয়ে অফিসে খোশগল্প করতে দেখা যায়। বুধবার শিক্ষার্থীদের মাঠে দৌঁড়াদৌড়ি ও ক্লাস ফাঁকা রেখে শিক্ষকরা চা চক্র চালাতে দেখি।
শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে অফিসে বসে থাকার কারণ জানতে চাই। শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন চাওয়ায় প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরি চরম অসদাচরণ করেন, লাঠি নিয়ে মারতে উদ্যত হন। প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো তিনি অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জাফরি তাকে লাঞ্ছিত করেছেন।