
প্রতীকী ছবি
রবিশস্যখ্যাত দাগনভূঞায় চরম বিপাকে পড়েছেন বোরো চাষ আবাদিরা।
দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের দুটি মিনি স্লুইসগেট অকেজো হয়ে পড়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
অকেজো স্লুইসগেটগুলো সচল করার কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় দাগনভূঞায় প্রায় তিন হাজার ৫২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ও ২৭০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা।
এতে ৩৪ হাজর ৯১৬ পরিবারের জীবনে দুর্বিষহ অভাব নেমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, জেলায় মোট সেচ নলকূপের পরিমাণ এক হাজার ৫১৯টি। কিন্তু অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে এসব নলকূপ সময়মতো সক্রিয় থাকছে না। এতে বোরো আবাদে ব্যাঘাত ঘটছে চরমভাবে।
এ ছাড়া পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পাওয়ার পাম্পগুলোর পানিরপ্রবাহ অত্যন্ত কম।
সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮২ সালে দাগনভূঞা এলাকার এক ফসলি আবাদ হয় এমন জমিতে বোরো ও রবিশস্য আবাদের লক্ষ্যে ছোট ফেনী নদীসংলগ্ন খালে প্রায় ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাত সারিবিশিষ্ট স্লুইসগেট এবং মাতুভূঞা সেতুসংলগ্ন খালে ১টি ও সেনবাগবাজারসংলগ্ন খালে ১টি স্লুইসগেট নির্মাণ করে। নির্মাণের কয়েক বছর পর মাতুভূঞার স্লুইসগেটটি উল্টে যায়। অপর দুটিও এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
ওমরাবাদ গ্রামের কৃষক কাশেম জানান, স্লুইসগেটগুলো বন্ধ করে শীত মৌসুমে পানি আটকে রাখার জন্য যে প্লেট আনা হয়েছিল, তা ব্যবহার না করেই পার্শ্ববর্তী চেয়ারম্যানবাড়িতে রেখে দেয়া হয় এবং এগুলো সে অবস্থায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, এ গেটগুলো সচল থাকলে এ অঞ্চলের হাজার হেক্টর জমিতে আউষ বোরো চাষ করা সম্ভব হতো। এ ছাড়া দীর্ঘদিনেও দাগনভূঞার খালগুলোর নাব্যতা বাড়াতে খনন করা হয়নি। প্রতিবছর বন্যার সঙ্গে পলিমাটি এসে খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এতে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্রতিনিয়ত প্রবেশ করে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কাজীরহাট স্লুইসগেট কার্যকর না থাকায় দাগনভূঞাসহ তিন জেলার ৫টি উপজেলার ক্ষতির পরিমাণ বেশি হচ্ছে। তবে দাগনভূঞায় ২টি মিনি স্লুইসগেট বর্তমানে কার্যকর নয়। চেষ্টা চলছে কার্যকর করার।