Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রতিমন্ত্রীর আগমনের খবরে রাতভর সেই সেতুতে মাটি ভরাট!

Icon

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০৯ পিএম

প্রতিমন্ত্রীর আগমনের খবরে রাতভর সেই সেতুতে মাটি ভরাট!

রাতভর সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট

১৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘সেতু আছে, সংযোগ সড়ক নাই’ শিরোনামে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে লন্ডনী খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতু নিয়ে একটি প্রতিবেদন।

এ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মঙ্গলবার সেতু এলাকা পরিদর্শনে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

এদিকে প্রতিমন্ত্রীর আসার সংবাদে সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু হয় সেতু এলাকায় মাটি ভরাট কার্যক্রম।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান দিনরাত পরিশ্রম করে সেই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করতে দেখা যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. সোহেল রানা পাপ্পুও ছিলেন রাতভর সেই ব্রিজের মাটি ভরাটে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের বায়রাউড়া গ্রামে লন্ডনী খালের ওপর নির্মিত হয়েছে ৩২ ফুট দৈর্ঘ্য পাকা সেতু। ২৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৫ টাকা নির্মাণ ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নান্দাইলের মেসার্স নিলয় এন্টারপ্রাইজ।

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বায়রাউড়া ও দারিয়াপুর গ্রামের সংযোগস্থলে খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। প্রায় এক বছর আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতু পার হতে দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি পানিবেষ্টিত হয়ে পড়ে আছে। ফলে বায়রাউড়া, পাছারকান্দা, কোনাপাড়া, দারিয়াপুর, অচিন্তপুর বীরপুর গ্রামের বাসিন্দারা খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পানিতে পড়ে বইখাতা জামা কাপড় নষ্ট করছে।

বায়রাউড়া গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘সেতু করছে, কিন্তু সেতু পার অওনের কোনো রাস্তা নাই। কবে মাটি ফালাইয়্যা রাস্তা করবো কে জানে? রাস্তা না অইলে এই সেতু গেরামের মাইনষ্যের কোনো উপকারে লাগবো না।’

লন্ডনী খাল পাড়ের বাসিন্দা ছামছুন্নাহার বলেন, ‘বর্ষা মাইস্যে বাঁশের সাঁকো পানিত ডুইব্যা যায়। তহন গেরামের মেয়ে- ছেলে পানি ভাইঙ্গা খাল পার হইতে অয়।  সেতুর রাস্তাডা অইলে তো আমরার আর এই কষ্টডা করন লাগতো না।’

এ সংবাদের প্রেক্ষিতে অবশেষে শত বছরের রাস্তা আর ব্রিজের দুই পাশে মাটি ভরাটের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অসুবিধা লাঘব হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রীর আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম