Logo
Logo
×

সারাদেশ

পঞ্চম শ্রেণিতে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত সেই নূর নাহার এখন গৃহবধূ!

Icon

শফিক আজাদ, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০৫ পিএম

পঞ্চম শ্রেণিতে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত সেই নূর নাহার এখন গৃহবধূ!

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের কাছ থেকে জাতীয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার নিচ্ছে নূর নাহার

পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশপারী ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছৈয়দ আলমের মেয়ে নূর নাহার বেগম (১৩)।

বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ক্রিকেট বল নিক্ষেপ করে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় হয়েছিল সে। সেই নূর নাহার বেগম (১৩) এখন গৃহবধূ।

এ নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক, সচেতন মহলের মাঝে বিরূপ মন্তব্য সৃষ্টি হয়েছে। 

সরকার ঝরেপড়া রোধ করার  লক্ষ্যে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়াও গ্রামে-গঞ্জে এ সব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সেবা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. এরশাদুল হক।

তিনি বলেন, এর পরও কোনো অভিভাবক গোপনে এ ধরনের অন্যায় কাজ করে থাকলে অবশ্যই আইনের পরিপন্থী।

নূর নাহারের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি ওই ছাত্রীর নাকি পার্শ্ববর্তী এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু কীভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই।

নূর নাহার বেগম হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে হলেও পড়ালেখা এবং খেলাধুলায় অত্যন্ত ভালো ছিল। ২০১৮ সালে পিএসসি পাস করার পর ইচ্ছা থাকলেও পরিবারের বাধার মুখে আর সামনে এগোতে পারেনি সে।

সব স্বপ্ন মাটি হয়ে যায় নূর নাহারের। পার্শ্ববর্তী রফিক আলম (১৪) নামের আরেক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়। এমনটি জানালেন তার কয়েকজন সহপাঠী।  

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) পাস করার পর সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল কবির বলেন, শুনেছি পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর আর মাধ্যমিকে ভর্তি না করিয়ে নূর নাহার বেগমকে বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার। হয়তো অভাব-অনটনের কারণে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

জন্মসনদ অনুযায়ী বর্তমানে তার বয়স ১৩ বছর। স্বামী রফিক আলমের বয়স ১৪-এর বেশি নয়। বর্তমানে যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে এ সব রোধ করবে কে?

এমন প্রশ্নের জবাবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে দ্রুত খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম